পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত প্রভৃতি বহি জগৎ ; প্ৰাণ, বেদাদি শাস্ত্র, যাগযজ্ঞাদি, তপঃ শ্ৰদ্ধা, ব্ৰহ্মচৰ্য্য বিধি, অন্তজগৎ এই সকল ব্ৰহ্মে প্রতিষ্ঠিত বলিয়া ভাবিতে হইবে । অর্থাৎ বহির্জগতে, জীবনে, ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে এবং আত্মাতে পরমেশ্বরের প্রকাশ দেখিতে হইবে। বাজার একেশ্ববিবাদ অতি সহজ । তিনি পরমেশ্বরকে জগতের স্রষ্টা, বিধাতা ও শাসনকৰ্ত্তারূপে দেখিতেন ও দেখিবার উপদেশ দিতেন। তিনি বাহা ক্রিয়াকলাপ ও যুক্তিহীনমতের ধৰ্ম্মকে আতিশয় ভয় করিতেন। তাহার মনে এই অশঙ্কা ছিল যে, পূর্ব পূর্ব সম্প্রদায় সকলের যেরূপ দশা হইয়াছে, পাছে তাহার প্রচাবিত ধৰ্ম্মের সেই প্ৰকার হয় । বা জাব একেশ্বববাদ ব্ৰাহ্মসমাজে বিকাশ প্রাপ হইয়াছে, এবং ক্ৰমশঃ আ<ধ ও বিকশিত হইবে । উপাসনা কি ? তদ্বিষয়ে বাজা বলিতেছেন যে ;-উপাসনার লৌকিক অর্থ তুষ্টির উদ্দেশ্যে যত্ন ; কিন্তু পরব্রহ্ম বিষয়ে উপাসনার অর্থ, জ্ঞানে বা আবৃত্তি। তুষ্টির উদ্দেশ্যে যত্ন দুই প্রকার। প্ৰথম, নৈবেদ্যাদির দ্বারা দেবতার দেবী । দ্বিতীয়, বাহসেবা না করিয়া প্ৰেমভক্তি দ্বারা অন্তরে তাহার পূজা | শঙ্করাচাৰ্য্যও মানসপূজার বিধি দিয়াছেন। বৈষ্ণবশাস্ত্ৰেও এই দুই প্রকার পূজাব বিধি আছে। রাজা নৈবেদ্যাদির দ্বারা বাহপূজা ত্যাগ করিতে গিয়া দ্বিতীয় প্রকার পূজার ও উল্লেখ করেন নাই ; কেবল জ্ঞানদ্বারা উপাসনার কথা বলিয়াছেন । তিনি স্থানান্তরে বলিয়াছেন যে, জ্ঞানদ্বারা মুক্তি হয়, কিন্তু সেই জ্ঞানের কারণ, কৰ্ম্ম ও ভক্তি । সঙ্গীতাদিদ্বারা ভাবের উদ্দীপনাকে তিনি সাধনোপায় বলিয়া মনে করিতেন । কিন্তু আপনার অন্তরে, সেই অন্তরতম প্ৰিয়তম পরমেশ্বরের সহিত প্রেমযোগ, সেই প্ৰেমাস্পদ পুরুষের সহিত প্রেমের আদান-প্ৰদান, উপাসনা বিষয়ে বাজার উপদেশে এবং তঁাহার প্রদর্শিত