পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরও কয়েকখানি গ্ৰন্থ প্ৰকাশ ୯୩ଏ୬ কোন কোন খ্ৰীষ্টিয়ানেরা বলেন যে ;-“ধীশু উপদেশ দিয়াছেন যে, অন্যের নিকটে যেরূপ ব্যবহার প্রত্যাশা কর, অন্যের প্রতি তুমি নিজে সেইরূপ ব্যবহার কর । ইহা ভাবাত্মক ( Positive) উপদেশ। ষীশুর পূর্বে র্যাহারা এই প্রকার উপদেশ দিয়া গিয়াছেন, তঁহাদের সকলেরই উপদেশ অভাবাত্মক ( Negative) অর্থাৎ তাহদের উপদেশ এই যে, অন্যের নিকট হইতে যেরূপ ব্যবহার পাইতে ইচ্ছা করি না, অন্যের প্রতি সেইরূপ ব্যবহার করিও না । চীনদেশীয় জ্ঞানী কনফিউসসের গ্রন্থে, মহাভাবতে, এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মেব গ্রন্থে, এইরূপ অভাবাত্মক উপদেশ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। যীশুই কেবল এ বিষয়ে ভাবাত্মক উপদেশ দিয়াছেন।” ইহা অমূলক কথা । বৌদ্ধধৰ্ম্মের গ্রন্থে এ বিষয়ে ভাবাত্মক উপদেশ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। রাজা রামমোহন রায়, সংস্কৃতশাস্ত্ৰ হইতে ভাবাত্মক উপদেশ উদ্ধৃত করিয়াছেন। তিনি এই ব্ৰহ্মোপাসনা পুস্তকে ভাবাত্মক ও অভাবাত্মক উভয আকারেই উপদেশ দিয়াছেন । মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুব ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মেব যে চারিটি বীজ স্থিব করিয়া দিয়াছেন, তাহার চতুর্থ বীজ এই ;-“তস্মিন প্রতিস্তস্য প্রিয়কাৰ্য্যসাধনঞ্চ তদুপাসনমেব।” তাহাকে প্রীতি করা ও র্তাহার প্ৰিয়কাৰ্য্য সাধন করাই র্তাহার উপাসনা । দেখা যাইতেছে যে, রাজা রামমোহন রায়, এই উপদেশ প্রথমেই দিয়া গিয়াছেন। রামমোহন রায়, ব্রহ্মোপাসনাপুস্তকে বলিতেছেন, পরমেশ্বরের প্রতি নিষ্ঠা এবং পরস্পব সৌজন্য ও সাধুব্যবহার এই দুটি ধৰ্ম্মের মূল। রাজা রামমোহন রায়ের সহিত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের কেবল ভাষার ভিন্নতা মাত্র, ভাব একই। ফরাসি দেশের থিওফিল্যানথুপিষ্ট গণ রামমোহন স্নায়ের সময়ে, ফরাসি দেশে ভলনি, ভালটেয়ার, টমাস পেন প্রভৃতি কতকগুলি লোক একেশ্বরবাদ প্রচার করিয়াছিলেন। তাহারাও 18