পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরও কয়েকখানি গ্ৰন্থপ্ৰকাশ S ዓ(፩ স্তোত্রটির উপরে লিখিয়া দিয়াছেন, “তন্ত্রোক্ত স্তব, তান্ত্রিকাধিকারে হয় ।” স্তোত্রের নিম্নে, সর্বশেষে লিখিতেছেন ;- “এ ধৰ্ম্ম সুতরাং গোপনীয় নহে, অতএব ছাপা করান গেল, শেষ ছাপা হইল।” উক্ত স্তোত্রটি কিছু কিছু পরিবৰ্ত্তিত হইয়া অন্যাপি আদি ব্ৰাহ্মসমাজে উপাসনার সময় ব্যবহৃত হয় । যদিও এই উপাসনা পদ্ধতির মধ্যে রাজা সঙ্গীতের কথা কিছু বলিতেছেন না, কিন্তু তিনি সঙ্গীতদ্বারা উপাসনার অত্যন্ত পক্ষপাতী ছিলেন। স্থানান্তরে শাস্ত্রীয় প্রমাণ সহকারে সঙ্গীতদ্বারা উপাসনার আবশ্যকতা প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন । ব্ৰাহ্মসমাজে সঙ্গীতদ্বারা উপাসনা তিনিই প্ৰবৰ্ত্তিত কবেন । এই উপাসনা পদ্ধতিতে সঙ্গীত বিষয়ে কোন কথা না থাকিলেও, উহা উহা আছে বলিয়া মনে করিতে হইবে । “প্রার্থনাপত্র’ এই পুস্তক ১৭৪৫ শকে, ( ১৮২৩ খ্ৰী: অঃ ) প্রথম প্ৰকাশিত হয়। ইহাতে স্বজাতীয়, বি জাতীয় সকল ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের প্রতি উদার ভ্ৰাতৃভাব প্ৰকাশ করা হইয়াছে। ভারতবর্ষীয় উপাসকসম্প্রদায় সকলের মধ্যে র্যাহারা ব্ৰহ্মজ্ঞানের পথে চলিতেছেন, ই হাতে, রামমোহন রায় বিশেষ ভাবে, তাহদের উল্লেখ করিতেছেন । তিনি বলিতেছেন,-“দশনামা সন্ন্যাসীদের মধ্যে অনেকে এবং গুরু নানকের সম্প্রদায়, ও দাদুপন্থী, ও \ কবীরপন্থী, এবং সন্তমতাবলম্বী প্ৰভৃতি এই ধৰ্ম্মাক্রান্ত হয়েন ; তাহাদের সহিত ভ্ৰাতৃভাবে আচরণ করা আমাদের কৰ্ত্তব্য হয়।”