পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ده ډ ব্ৰহ্মনিষ্ঠের দুইটিমাত্ৰ লক্ষণ এস্থলে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করা আবশ্যক। তিনি ব্ৰহ্মনিষ্ঠের দুইটিমাত্ৰ সামান্য লক্ষণ দিয়াছেন। প্ৰথম, বিশ্বাস সম্বন্ধে । বাক্য-মনের অগোচর পরমাত্মা, জগতের মূল এবং আশ্রয়, এই বিশ্বাস। দ্বিতীয়, জীবন ও ব্যবহার সম্বন্ধে। পারকে আত্মভাবে দেখিয়া তাহার প্ৰতি তদ্রুপ আচরণ । কেবল এই দুটি মাত্ৰ লক্ষণ ।। ব্ৰহ্মোপাসনা পুস্তকেও এই ভাবের কথা বলিয়াছেন। কবীরপন্থী প্ৰভৃতি যে সকল হিন্দু সম্প্রদায়, ব্ৰহ্মজ্ঞানের পথে চলিতেছেন বলিয়া রাজা তাহদের সহিত, বিশেষ ভাবে, ভ্ৰাতৃভাব রক্ষা করিতে উপদেশ দিতেছেন, সেই সকল সম্প্রদায়ের লোক জন্মান্তরে বিশ্বাস করেন, অনেকেই আত্মাংশে জীবের অনাদিত্ব স্বীকাব করেন । তথাপি রাজা তাহাদিগকে “এই ধৰ্ম্মাক্রান্ত” অর্থাৎ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মাক্রান্ত বলিয়া গ্ৰহণ করিয়াছেন । এস্থলে স্মরণ করা আবশ্যক যে, রাজা বৈদান্তিক অদ্বৈতবাদের ভিত্তিব উপরে দণ্ডায়মান হইয়া হিন্দু পণ্ডিতগণের সহিত শাস্ত্রীয় বিচার করিয়াছিলেন। শাস্ত্ৰানুসাবে, আত্মাংশে জীবেব অনাদিত্ব স্বীকার করিয়াছেন । এতদ্ভিন্ন গুরুকরণে বিশ্বাস প্ৰকাশ করিয়াছেন । উপনিষদে যেরূপ গুরুর কথা আছে, সেই প্ৰকার গুরুর আবশ্যকতা স্বীকার করিয়াছেন । গুরুর লক্ষণ দেখিয়া গুরুনির্বাচন করিয়া লইতে বলিয়াছেন । বৈষ্ণবগুরু কিম্বা কৌলগুরুকে যে সাক্ষাৎ ভগবান বা শিবস্বরূপ বলা হইয়াছে, উহা রামমোহন রায়ের মতে কেবল, মাহাত্ম্যসূচক বাক্যমাত্ৰ । উহার অর্থ কেবল এই যে, গুরুকে বিশেষভাবে ভক্তি করিতে হইবে ॥ রাজা গুরুর ব্ৰহ্মত্ব বা অভ্রান্তত্ব স্বীকার করেন নাই । সুতরাং কবীরপন্থী