পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ইহাদিগের বাটী প্ৰথমে কাসারিপাড়ায় ছিল, এক্ষণে গড়পারি।” যে সময়ে রামমোহন রায়ের উপদেশে, নীলমণি ঘোষের চিত্ত ব্ৰহ্মজ্ঞানের দিকে আকৃষ্ট হইয়াছিল, তিনি তৎকালীন মানসিক ভাবব্যঞ্জক একটি ভক্তিরসপূর্ণ সঙ্গীত রচনা করিয়া এক দিবস রামমোহন রায়কে শুনাইলেন । গীত শুনিয়া তিনি অত্যন্ত প্ৰশংসা করিলেন, এবং তঁাহাকে আলিঙ্গন দিলেন । আমরা উক্ত সঙ্গীতটি নিমে প্ৰকাশ করিলাম । কে জানে তোমায় তারা, তুমি সাকার কি নিরাকারা ? বাক্যেতে কহিতে নারি, বৰ্ণেতে বৰ্ণিতে হারি, न व७ न श्रृंभान् नाड़ी, ব্যোম আদি ধর । হিতার্থে উপাধি দিয়ে, কোন মতে নাম লয়ে, হই যেন সারা । কায়স্থের সহিত মদ্যপান বিষয়ক বিচার শাস্ত্রীয়বিচার ও অন্যায় বিষয়ে রামমোহন রায়ের অনেকগুলি বাঙ্গালা পুস্তকের সারমর্ম আমরা পাঠকবর্গকে অবগত করিয়াছি। আর একখানি পুস্তকের কথা বলিব। ইহার নাম “কায়স্থের সহিত মদ্যপানবিষয়ক বিচার’। উক্ত পুস্তকে প্ৰতিপন্ন করা হইয়াছে যে, শূদ্রের পক্ষে সুরাপান শাস্ত্ৰবিরুদ্ধ কাৰ্য্য নহে। এমন কি, ব্ৰাহ্মণ প্ৰভৃতি জাতিরও বিহিত মদ্যপানের অধিকার আছে । শাস্ত্রানুযায়ী সুরাপান করিলে ধৰ্ম্মহানি হয় না। রামমোহন রায় মদ্যপানের পক্ষসমর্থন, কেবল এই ক্ষুদ্র