পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত মৰ্ম্মের সংস্কৃত শ্লোকটি উচ্চারণ করিয়া তাহাকে তিরস্কার করিলেন । অতিরিক্ত সুরাপানের প্রতি র্তাহার এতদূর বিদ্বেষ ছিল যে, তাহার কোন বন্ধু একবার উক্ত দোষে দোষী হইয়াছিলেন বলিয়া ছয় মাস কাল তাহার মুখদর্শন করেন নাই । উপরি উক্ত গ্ৰন্থ সকল ব্যতীত রামমোহন রায় আরও কয়েকখানি গ্ৰন্থ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। তন্মধ্যে কয়েকখানি অনুবাদিত প্ৰাচীনশাস্ত্ৰ এবং কয়েকখানি স্বরচিত গ্ৰন্থ । শ্বে তাশ্বতর ও ছন্দ্যোগ্য প্রভৃতি উপনিষৎ, গুরুপাদুকা ইত্যাদি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, এক্ষণে উক্ত গ্রন্থগুলি পাওয়া যায় না । স্বরচিত অথবা অনুবাদিত গ্ৰন্থ ভিন্ন রামমোহন রায় কোন কোন জ্ঞানগর্ত সংস্কৃত গ্ৰন্থ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । তাহার। বৰ্ত্তমান গ্ৰন্থ প্ৰকাশক বলেন,-“রাজা রামমোহন রায় বেদান্তসুত্রের সমগ্র সংস্কৃত শাস্কর ভাষ্য পৃথক মুদ্রিত করিয়াছিলেন, এবং ঈশ, কেন, কঠ, মুণ্ডক, প্রভৃতি কয়েকখানি উপনিষৎ, তাহার সংস্কৃত বৃত্তি বা টীকা মুদ্রিত করিয়া প্রচার করিয়াছিলেন । ইহার মধ্যে কোন কোন গ্ৰন্থ ভিন্ন ভিন্ন আকারে মুদ্রিত হইয়াছিল । বেদান্তসূত্র ভাস্থ্যখানি চতুষ্পত্রিাকারের (Quarto size) ৩৭৭ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ। কিন্তু তাহাতে রামমোহন রায়ের রচিত কিছুই নাই | উপনিষদের বৃত্তিগুলি, ভিন্ন লোকের রচিত” ইত্যাদি । বেদচর্চার পুনরুদ্দীপন ব্ৰহ্মজ্ঞান সম্বন্ধে শাস্ত্রায় বিচারে প্রবৃত্ত হওয়াতে এবং বেদান্তাদি শাস্ত্ৰ সম্বন্ধে গ্রন্থ সকল প্ৰকাশ করাতে, রামমোহন রায়ের দ্বারা একটি বিশেষ উপকার সাধিত হইয়াছিল । বঙ্গদেশে বহুকাল হইতে বেদ বেদান্তের চৰ্চা বিলুপ্ত হইয়া যায়। নবদ্বীপ, বিক্রমপুর, ভাটপাড়া, ত্ৰিবেণী, বংশবাটী প্ৰভৃতি স্থানে পুরাণ, স্মৃতি, ন্যায় প্রভৃতি শাস্ত্ৰ অধীত হইত বটে, কিন্তু