পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত এবং প্রতিদিন পূর্বাহে ও সায়াহ্নে গম্ভীব ভাবে পরমেশ্বরের উপাসনা কবিতেন । কয়েকজন বন্ধু তাহাকে ছাড়িয়া গেলেন বটে, কিন্তু সকলে ছাডিলেন না। স্বগীয় দ্বােব কানাথ ঠাকুব, মধ্যে মধ্যে, এবং স্বৰ্গীয় ব্ৰজমোহন মজুমদার, হলধর বসু, নন্দকিশোর বসু, রাজনারায়ণ সেন, হবিহরানন্দ তীর্থস্বামী প্ৰভৃতি নিয়মিতরূপে আত্মীয়সভায় উপস্থিত থাকিতেন । তাহারা সর্বপ্রথমে প্ৰকাশ্যরূপে বামমোহন রায়ের মত গ্ৰহণ কবিয়ছিলেন । লোকে তাহাদিগকে নাস্তিক বলিয়া গালি দিত । রামমোহন রায়ের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা রামমোহন বায়েব বাটীতেই আত্মীয়সভা হইতে লাগিল। পবিশেষে, র্তা তাকে পৈতৃক সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত কবিবার জন্য র্তাহাব ভ্রাতুষ্পপুত্রেরা তাহাব বিরুদ্ধে মোক দমা উপস্থিত ক ধাতে তিনি স্বযং সভায়ু উপস্থিত থাকিতে পাবিতেন না । সেই জন্য সভা কখন বৃন্দাবন মিত্রের বাটীতে, কখন উপনগরে, রাজা কালীশঙ্কর ঘোষালের ব্ৰাটীতে, এবং কখন তুলাবাজারে বিহাৰীলাল চৌবের বাটীতে হইয়াছিল। っ এক মহা বিচারসভা ও সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্ৰীয় পরাভব ਸe কিছুকাল পৰ্য্যন্ত এইরূপে চলিল। পরিশেষে ১৮১৯ খ্ৰীঃ অঃ ডিসেম্বব মাসে, ১৭ পৌষ দিবসে, উপরিউক্ত বিহারীলাল চৌবের ভবনে এক মহাসভা হইল। কলিকাতা ও উপনগরের প্রধান প্ৰধান পণ্ডিত ও প্রধান প্ৰধান ধনবান ও সস্ত্ৰান্ত ব্যক্তিগণ সভামণ্ডপে আসীন হইলেন । ব্ৰহ্মজ্ঞানী দিগকে বিচারে পরাস্ত করিবার জন্য, কলিকাতার প্ৰধান সমাজপতি রাজা রাধাকান্ত দেব বড় বড় ভট্টাচাৰ্য্য পণ্ডিতগণকে সমভিব্যাহারে লইয়া আসিলেন )ामभाश्न রায়কে পরাস্ত করিবার জন্য