পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মীয়সভা ও ব্ৰাহ্মসমাজপ্ৰতিষ্ঠা \o S অনেক ষড়যন্ত্র করা হইয়াছিল। কিন্তু ঈশ্বর প্রদত্ত প্ৰতিভার নিকট সকলই বিফল হইয়া গেল। সভাস্থলে যে যে তর্ক উপস্থিত করা হইয়াছিল, তন্মধ্যে সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর তর্কই প্ৰধান। তিনি বলিলেন যে, বঙ্গদেশে প্ৰকৃত বিশুদ্ধ ব্ৰাহ্মণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায় না, সুতরাং এখানে বেদপাঠ হওয়া উচিত নহে। সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রী এই কথা বলিলে, কিছুক্ষণ সকলে নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন ; কেহই প্ৰতিবাদ করিলেন না । অবশেষে রামমোহন রায় গম্ভীর ভাবে তাহার মত খণ্ডন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। ঘোরতর তর্কযুদ্ধের পর, সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীকে নিরস্ত হইতে হইল। রামমোহন রায়ের অসামান্য ক্ষমতার কথা তাড়িতের ন্যায় চতুদিকে বিস্তৃত হইয়া পড়িল । পৌত্তলিকগণ ক্ৰোধ ও বিদ্বেষবশত: বিবিধ প্রকারে তাহার অনিষ্টসাধনে প্ৰয়াস পাইতে লাগিলেন । মোকদ্দমার জন্য ব্যস্ততা রামমোহন রায়ের ভ্রাতুষ্পপুত্র, জগন্মোহন রায়ের পুত্ৰ গোবিন্দ প্ৰসাদ সম্পত্তির অংশ পাইবার জন্য, তাহার নামে সুপ্রীম কোটে মোকদ্দমা উপস্থিত করেন। রামমোহন রায় উহাতে এতদূর ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন যে, এই সময়ে দুই বৎসরকাল আত্মীয়সভা বন্ধ ছিল। এই অভিযোগসম্বন্ধে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া গোবিন্দ প্ৰসাদ তাহাকে ষে পত্ৰ লিখিয়াছিলেন, তাহার অবিকল প্ৰতিলিপি নিম্নে প্রকাশিত হইল। শ্ৰীকৃষ্ণ শরণং । সেবক শ্ৰীগোবিন্দপ্ৰসাদ দে বশৰ্ম্মণ: প্ৰণাম পর্যাদ্ধ নিবেদনঞ্চ বিশেষঃ। মহাশয়ের শ্ৰীচরণ প্ৰসাদাৎ এ সেবকের মঙ্গল পরং আমি অন্য অন্য লোকের কথা প্ৰমান মহাশয়ের নামে হিস্যা পাইবার প্রার্থনায় শুপরেম