পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bም” মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তত্ৰত্য আচার ব্যবহার, ধৰ্ম্ম ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্বন্ধে অধিকতর জ্ঞানলাভ করিবার জন্য, স্বচক্ষে সকল দেখিতে বাসনা করিলাম । যাহা হাইক, যে পৰ্য্যন্ত না আমার মতাবলম্বী বন্ধুগণের দলবল বৃদ্ধি হয়, সে পৰ্য্যন্ত আমার অভিপ্ৰায় কাৰ্য্যে পরিণত করিতে ক্ষাস্ত থাকিলাম। পরিশেষে আমার আশা পূর্ণ হইল। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির নূতন সনন্দের বিচারদ্বারা ভারতবর্ষের ভাবী রাজশাসন {ও ভারতবাসিগণের প্রতি গবৰ্ণমেণ্টের ব্যবহার বহু বৎসরের জন্য স্থিরীকৃত হইবে, ও সতীদাহ নিবারণের বিরুদ্ধে প্রিভিকৌন্সিলে আপিল শুনা হইবে বলিয়া আমি ১৮৩০ সালের নবেম্বর মাসে ইংলণ্ড যাত্রা করিলাম। এতদ্ভিন্ন, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি দিল্লীর সম্রাটুকে কয়েকটি বিষয়ে অধিকারচু্যত করাতে, ইংলণ্ডের রাজকৰ্ম্মচারীদের নিকট আবেদন করিবার জন্য, তিনি আমার প্রতি ভারাপণ করেন । আমি তদনুসাবে, ১৮৩১ সালের এপ্ৰেল মাসে, ইংলণ্ডে আসিয়া উত্তীর্ণ হই । “আমি আশা করি, এই বৃত্তান্তটি সংক্ষিপ্ত হইল বলিয়া আপনি ক্ষমা করিবেন ; কেননা এখন বিশেষ বিবরণ সকল লিখিবাব আমার অবকাশ নাই । রামমোহন রায় ।” কুমারী কাপেণ্টার অনুমান করেন, রামমোহন রায় এই পত্ৰখানি র্তাহার কলিকাতাস্থ বন্ধু। গর্ডন সাহেবকে লিখিয়াছিলেন। ইংলণ্ড হইতে ফরাসীদেশে যাইবার অব্যবহিত পূর্বে ইহা লিখিত হয়। প্ৰথমে ইহা এথিনিয়ম ও লিটারেরি গেজেট পত্ৰে প্ৰকাশিত হয়। পরে উহা হইতে অন্যান্য সংবাদপত্রেও উদ্ধৃত হইয়াছিল।