পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত و\\C)S রাধাকান্ত দেবী, সভাপতি। মতিলাল শীল প্ৰভৃতি নগরের প্রধান প্ৰধান ধনিগণ উৎসাহী সভ্য। লক্ষটাকা সভার মূলধন। এরূপ শুনা যায় যে, সভার দিনে চিৎপুর রোডের যে বাড়ীতে সভা হইত, তাহার প্রায় এক পোয়া পথপৰ্য্যন্ত গাড়ী দাড়াইত । এক দিকে এই । অপর দিকে রামমোহন রায়, কয়েকজন অনুগত বন্ধুমাত্র লইয়া ব্ৰহ্মসভার গৃহে সত্যের ভাবী উন্নতির প্রতি নির্ভর করিয়া বসিয়া আছেন। যাহারা তাহার অনুগত হইয়াছেন, তাহারা তজ্জন্য সাধারণের নিকট নিন্দিত, তিরস্কৃত ও ঘুণিত। ‘নাস্তিক’, ‘পাষণ্ড!” প্রভৃতি শব্দ তাঁহাদেব অঙ্গে বা আভরণ। সত্যের গৃঢ় আকর্ষণে র্তাহারা তঁহাদের উপদেষ্ট ও নেতা মহাপুরুষের মুখপানে তাকাইয়া সমুদায় সহ করিতেছিলেন । লোকবল, অর্থবল, আড়ম্বর, এ সকলের কিছুই নাই । ধৰ্ম্মসভার উন্নতি ও আড়ম্বর দেখিয়া অনেকে বলিতে লাগিলেন যে, ব্ৰহ্মসভা আর অধিককাল স্থায়ী হইবে না । বাস্তবিক সে সময়েব অবস্থা দেখিয়া কে মনে করিতে পারিত যে, সকল প্ৰকার বাধা বিস্ত্ৰ অতিক্রম কবিয়া ব্ৰাহ্মসমাজ, উন্নতিপথে ক্রমশঃ অগ্রসর হইবে ;-বালুকাকণাসন্নিভ বীজকণা হইতে বটবৃক্ষ উৎপন্ন হইবে ? সাংসারিক ভাবে দেখিলে, ব্ৰহ্মসভার দল সকল বিষয়ে ধৰ্ম্মসভার দলের অপেক্ষা হীন ও নিকৃষ্ট । কিন্তু এক বামমোহন রায়ের প্রতিভা সমগ্ৰ বঙ্গভূমিকে বিকম্পিত করিয়া তুলিয়াছিল। কলিকাতায় ব্রহ্মসভা ও ধৰ্ম্মসভার কথা লইয়া যথা তথা আন্দোলন । এক এক দিন জনরব উঠিত যে, ব্ৰহ্মসভা ধৰ্ম্মসভােব নিকট সম্পূর্ণ পরাস্ত হইয়া গিয়াছে। আবার কোন দিন বা ঠিক তাহার বিপরীত প্ৰকার জনরব উঠিত যে, রামমোহন রায়ের নিকট ধৰ্ম্মসভা পাবাভব স্বীকার করিয়াছে, আর উহা মস্তক তুলিতে পরিবে না।