পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামাজিক আন্দোলন ૭રે જે দাহের এক তালিকা সংগৃহীত হয় । তাহাতে অবগত হওয়া যায় যে, উক্ত সালে কোন কোন বিভাগে, কত স্ত্রীলোক সহমৃতা হইয়াছিল। মাকুইস অব হেষ্টিংসের শাসনকালে, সতীদাহের যে তালিকা সংগৃহীত হয়, তাহ সাধারণের নিকটে প্ৰকাশিত হইবাব সম্ভাবনা ছিল না। ইংলণ্ডীয় কতকগুলি হিতৈষী ব্যক্তিব চেষ্টায় উহা প্ৰকাশিত হয় । পালেমেণ্ট মহাসভায় এবং ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির ডাইরেক্টারদিগের সভায় তাহারা এ বিষয়ে আন্দোলন কবিয়াছিলেন । তাহাদের চেষ্টাতেই ভাবতবৰ্ষীয় গবৰ্ণমেণ্ট উস্থা প্ৰকাশ করিতে বাধ্য হন। ইহাদ্বারা ইংলণ্ডীয় প্ৰজাবৰ্গ সতীদাহের বিষয় বিশেষরূপে জ্ঞাত হইলেন ; এবং এইরূপেই ইংলণ্ডীয় জনসাধারণ, সতীদাহ নিবাবণে বা আবশ্যকতা অনুভব করিতে আবন্ত কবিলেন । ইহাতে সতীদাহ নিবাবণের পথ পরিষ্কার কবিয়া দিল । ১৮১৭ খৃষ্টাব্দে, ৯ই সেপ্টেম্বব, ব্যবস্থাপক সভােব সব কাবী সভাপতির আজ্ঞাক্ৰমে নিজামত আদালত, সতীদাহ বিষয়ে, ম্যাজিষ্ট্রেটদিগের ও পুলিস কৰ্ম্মচারিগণের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম নিৰ্দ্ধাবণ করিয়া, কািন্তক গুলি নিয়ম প্ৰচাবি করেন । সতীদাহ বিষয়ে পুলিস-রিপোর্ট আমবা পূর্বে বলিয়াছি যে, ব্ৰহ্মসভার সহিত ধৰ্ম্মসভার বিবাদের একটি প্ৰধান কারণ সতীদাহ । সতীদাহরূপ ভয়ঙ্কর প্রথা, বঙ্গদেশে যে কি প্রকার প্রবল ছিল, তাহা এখনকার লোকের জ্ঞান নাই । ১৮২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে, বেঙ্গল গবৰ্ণমেণ্টের নিকট পুলিসকর্তৃক যে বিজ্ঞাপনী উপস্থিত করা হয়, তদ্বিারা অবগত হওয়া যাইতেছে যে, বাঙ্গালা প্রেসিডেন্সির