পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\98 о মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত দরখাস্ত করা হয়। সতীদাহ বিষয়ক রামমোহন রায়ের প্রথম পুস্তকের ইংরেজী অনুবাদ প্ৰকাশের তিন মাস পূর্বে উক্ত আবেদন-পত্র প্রেরিত হইয়াছিল। ৩০শে নবেম্বর, ১৮১৮ সালে উক্ত পুস্তক প্ৰকাশ হয়। কেহ কেহ মনে করেন যে, রামমোহন রায় এই সময় হইতেই সতীদাহ নিবারণের চেষ্টা করেন । কিন্তু বাস্তবিক তিনি ইহার কয়েক বৎসর পূর্ব হইতেই উক্ত কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়াছিলেন । বলপ্রয়োগ বিষয়ে রাজা বামমোহন রায় কি বলেন, পাঠকবর্গ জানিতে ইচ্ছা করিতে পাবেন । তিনি সহমরণ বিষয়ে যে সকল পুস্তক প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে দুইখানি পুস্তক নিবৰ্ত্তক ও প্ৰবৰ্ত্তক এই দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথনচ্ছলে লিখিত। আমরা তাহা হইতে কয়েক পংক্তি উদ্ধৃত করিলাম । বলপ্রয়োগ বিষয়ে রামমোহন রায়ের উক্তি “নিবৰ্ত্তক। তুমি এখন যাহা কহিতেছ, সে অতি অন্যায্য। ঐ সকল বাধিত বচনের দ্বাবা এরূপ আত্মঘাকে প্ৰবৰ্ত্ত করান সৰ্ব্বথা অযোগ্য হয় । দ্বিতীয়তঃ ঐ সফল বচনেতে এবং বচনানুসারে বাচিত সংকল্প বাক্যেতে স্পষ্ট বুঝাইতেছে যে, পতির জলন্ত চিতাতে স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক আরোহণ কবিয়া প্ৰাণত্যাগ করিবেক । কিন্তু তাহার বিপৰীত মতে তোমরা অগ্রে ঐ বিধবাকে পতিদেহের সহিত দৃঢ়বন্ধন কর, পরে তাহার উপর এত কাষ্ঠ দাও, যাহাতে ঐ বিধবা। আর উঠিতে না পারে । তাহার পর অগ্নি দেওন কালে দুই বৃহৎ বঁাশ দিয়া ছুপিয়া রাখা। এ সকল বন্ধনাদি কৰ্ম্ম কোন হারীতাদি বচনে আছে, তদনুসাবে করিয়া থাকহ, অতএব কেবল জ্ঞানপূর্বক স্ত্রীহত্যা হয় ।”