পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত রাজা রামমোহন রায় ও ভগবদগীতা রাজা ভগবদগীতাকে সর্বশাস্ত্রের সার বলিয়াছেন । তিনি অনেক সময় বন্ধুবান্ধবের নিকটে বলিতেন:-- “গীতার কথা শুনে না যে, তার কথা শুনবে কে ?” আজকাল বঙ্কিমবাবু প্ৰভৃতি ভগবদগীতার নিষ্কামধৰ্ম্ম বিষয়ে অনেক লিখিয়াছেন। তাহদের বহু পূর্বে রাজা রামমোহন রায় গীতামাহাত্ম্য ও গীতার নিষ্কামধৰ্ম্ম কীৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন । রাজা প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন যে, শাস্ত্ৰে সকাম কৰ্ম্মের যে সকল ফলশ্রুতি আছে, উহা স্তুতিবাদ বা অৰ্থবাদ মাত্র। মূঢ় ব্যক্তিকে দুষ্কৰ্ম্ম হইতে নিবৃত্ত করিয়া শাস্ত্ৰোক্ত কৰ্ম্মে প্ৰবৃত্তি দান করাই ঐ সকল ফলশ্রুতির উদ্দেশ্য । হিন্দুশাস্ত্রের ভিত্তির উপর দণ্ডায়মান হইলে, প্ৰকৃত শাস্ত্ৰবিধি কি, এবং অর্থবাদ বা স্তুতিবাদ কি, এই প্ৰভেদ নির্ণয় করা একান্ত আবশ্যক । রাজা এবিষয়ে বিশেষ সাবধান ছিলেন । কোন ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ কাৰ্য্য, দেশাচার বলিয়া কি কৰ্ত্তব্য হইতে পারে ? (!!!!!!!!!! বিপক্ষগণ এই এক যুক্তি দ্বারা সহমরণ প্ৰথা সমৰ্থন করিতেন যে, সহমরণ দেশাচার, পরম্পরা হইয়া আসিতেছে, সুতরাং উহাতে কোন Colo ') রামমোহন রায় এ কথার উত্তরে বলিতেছেন যে, যাহার ধৰ্ম্মভয় আছে, সে কখনও বলিবে না যে, পরম্পরা হইয়া আসিতেছে বলিয়া নরহত্যা ও চৌৰ্য্যাদি কৰ্ম্ম করিয়া মনুষ্য নিষ্পাপ থাকিতে পারে। এরূপ শাস্ত্ৰবিরুদ্ধ দেশাচার মান্য করিলে, অবশ্য বলিতে হয় যে, যে সকল বনস্থ ও পাৰ্ব্বতীয় লোক বংশপরম্পরায় দুসু্যবৃত্তি করিয়া আসিতেছে,