পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭৭

ས། মাজিক আন্দোলন \98چ जन বিপ্রনামা ভগবানের বিধি ও নিষেধবাক্যকে অতিক্ৰম করিয়া, ভগবান যে যে কৰ্ম্মের অনুকুল ছিলেন, তদনুরূপ কৰ্ম্ম করিতে পাণ্ডব প্রভৃতির ন্যায় উদযুক্ত হন, তাহা হইলে, অর্জনের সাক্ষাৎ মাতুল-কন্যা সুভদ্ৰাকে, অৰ্জ্জুন ভগবানের আনুকূল্যে বিবাহ করিয়াছিলেন, এই প্রমাণে স্বশিষ্যের প্ৰতি ঐ রূপ ব্যবহারের উপদেশ দিতে পারেন এবং পঞ্চ পাণ্ডবের এক কন্যা বিবাহ কৃষ্ণানুকূল্যে হইয়াছে, ইহাকেও বিধি জ্ঞান করিয়া, ইহার নিদর্শন দেখাইয়া তদনুরূপ ব্যবহারের অনুমতি দিতেও সমর্থ হইতে পারেন। অতএব, জিজ্ঞাস্য এই যে, এ প্রকারে গীতা প্রভৃতি শাস্ত্রোক্ত ধৰ্ম্মের উচ্ছেদের জন্য ‘বিপ্ৰনাম৷” কেন শাস্ত্রের নাম অবলম্বন করেন ? ব্ৰহ্মাদি দেবতার ও অবতারদের কৰ্ম্মানুরূপ ক্রিয়া কৰ্ত্তব্য, ‘বিপ্ৰনামা’ এই ব্যবস্থা দিয়াছেন। অতএব তিনি বুঝি তদনুসারে ব্যবহার করিতে শীঘ্ৰ প্ৰবৃত্ত হইবেন ?” শ্ৰীকৃষ্ণ ও অর্জনাদির দৃষ্টান্তের অনুসরণ করা কৰ্ত্তব্য কি না ? “মুগ্ধবোধচ্ছাত্ৰ’ এই নামধারী রামমোহন রায়ের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী বলিতেছেন,-“ভগবান ও র্তাহার অংশাবতার অর্জন ও র্তাহার সমকালীন অনুগত ব্যক্তিরা যে যে ক্রিয়া করিয়াছেন, সেইরূপ কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য ও তদনুসারে গীতার অর্থ করিতে হইবেক।” রামমোহন রায় বলিতেছেন, —“ইহার উত্তর পূর্ব পত্রীর উত্তরে লিখা গিয়াছে ; অর্থাৎ ‘বিপ্ৰনাম৷” ও ‘মুগ্ধবোধচ্ছাত্ৰ,” এইক্ষণে আপনাদের তাবৎকৰ্ম্ম ভগবানের ও অর্জনের ও ঊর্তাহাদের সমকালীন লোকের ক্রিয়ার ন্যায় বুঝি সম্পাদনা করিতে প্ৰবৰ্ত্ত হইলেন, এবং অন্যকেও সেইরূপ ব্যবহার করিতে অনুমতি দিবেন। অর্থাৎ গীতা প্রভৃতি শাস্ত্রের দ্বারা যে বিধি নিষেধ প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহা