পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত অৰ্জ্জুন প্রভৃতিব ক্রিয়ার সহিত ঐক্য হইলেই মান্য হইবেক, কিন্তু ‘মুগ্ধবোধচ্ছাত্রে’র এরূপ ব্যবস্থা সর্বধৰ্ম্মেব নাশের কারণ হয়। যেহেতু অস্ত্ৰত্যাগীব প্ৰতি অস্ত্ৰাঘাত শাস্ত্ৰে নিষিদ্ধ আছে , কিন্তু গীতাশ্রবণানন্তর অস্ত্ৰত্যাগী ভীষ্মকে অর্জন অস্ত্ৰাঘাত করিয়াছেন ; এবং সাত্যকি ও ভূরিশ্রব উভয়ের দ্বৈরথযুদ্ধে অৰ্জ্জুন তৃতীয় ব্যক্তি হইয়া ভূরিশ্রবার হস্তচ্ছেদন করিয়াছেন, এবং পাণ্ডবদের গুরু দ্রোণাচাৰ্য্যকে কৃষ্ণানুকূল্যে মিথ্যা কথা কহিয়া নষ্ট কবিয়াছেন । ‘মুগ্ধবোধচ্ছাত্ৰ’ বুঝি এই প্রকার গুরুবিধাদি কম্মেতে প্ৰবৰ্ত্ত হইবেন, এবং স্বশিষ্যকে এই সকল নিদর্শন দেখাইয়া প্ৰবৰ্ত্ত করাইবেন যে, পাণ্ডবে বা মিথ্যা কহিয়া গুরু বধ করিয়াছেন, অতএব মিথ্যা কহিয়া গুরুহ ত্যা করিতে পারে, এই ব্যবস্থা দিয়া “মুগ্ধবোধচ্ছাত্ৰ’ সকল ধৰ্ম্মনাশ করিতেছেন কি না, তাহা ‘মুগ্ধবোধচ্ছাত্ৰ’দের অধ্যাপক বিবেচনা করিবেন, এবং মাদ্রী প্ৰভৃতি স্ত্রীলোকের সহমরণ দেখাইয়া মুগ্ধবোধচ্ছাত্র, আধুনিক স্ত্ৰীসকলকে সহমবাণে প্ৰবৃত্তি দিতেছেন, তবে বুঝি “মুগ্ধবোধচ্ছাত্ৰ’ সুৰ্য্যাদিদ্ধাবা মাদ্রীব ও কুন্তীর পুত্রোৎপত্তিব নিদর্শন দেখাইয়া অন্য কোন পরাক্রমী ব্যক্তিদ্বাবা স্ববর্গের আধুনিক স্ত্রীলোকেরও পুত্রোৎপত্তি করিতে প্ৰবৃত্তি দিবেন। কি আশ্চৰ্য্য ! “মুগ্ধবোধচ্ছাত্র’ ও তাহাদিগের অধ্যাপক কিঞ্চিৎ লাভার্থী হইয়া ধৰ্ম্মলোপ করিতে প্ৰস্তুত হইয়াছেন। সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিয়া সহমরণের প্রবৃত্তির বিষয় লিখিয়াছেন, ইহার উত্তর, প্ৰথম পত্রের উত্তরে ২১৩ পৃষ্ঠার ১৬ পংক্তি অবধি বিবরণপূর্বক লেখা গিয়াছে, তাহাতে দৃষ্টি করিবেন।” সহমরণ বিষয়ে রাজার প্রতিদ্বন্দ্বী বলিতেছেন যে, ভগবদগীতার যে কয়েকটি শ্লোক মুদ্রাঙ্কিত হইয়াছে, তাহার অধিকারী সকামী কি নিষ্কামী ? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজা বলিতেছেন, যে সকল ব্যক্তির কৰ্ম্মেতে অধিকার আছে, তাহারাই ঐ শ্লোক সকলের বিষয় ; কিন্তু