পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OG IR মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত জ্ঞানী ব্যক্তি অজ্ঞানীকে সকাম কৰ্ম্মে প্ৰবৃত্তি দিবেন। কি না ? প্ৰতিবাদী জিজ্ঞাসা কবিতেছেন যে,-“ন বুদ্ধিভেদং জনয়েদজ্ঞানাং কৰ্ম্মসঙ্গিনাং ।” গীতার এই শ্লোকের তাৎপৰ্য্য কি ? রাজা উত্তর করিতেছেন যে, ‘বিপ্ৰনামা” কিঞ্চিৎ শ্রম কবিয়া ঐ শ্লোকের পর্যাদ্ধ দেখিলেই উহার তাৎপৰ্য্য বুঝিতে পারিতেন । ঐ শ্লোকের পর্যাদ্ধ এই,-“যোজিয়েৎ সৰ্ব্বকৰ্ম্মাণি বিদ্বান যুক্ত: সমাচবন।” জ্ঞানবান ব্যক্তি আপনি কৰ্ম্ম কবিয়া অজ্ঞানী কৰ্ম্মসঙ্গীকে কৰ্ম্মে প্রবৃত্তি দিবেন। জ্ঞানীর নিষ্কাম কৰ্ম্ম দেখিয়া অজ্ঞানীও সেই প্ৰকার কৰ্ম্ম কবিবে | কাম্যকৰ্ম্মে জ্ঞানীব কদাপি অধিকার নাই । তাহার নিষ্কাম কৰ্ম্ম দেখিয়া অজ্ঞানী চিত্তশুদ্ধিব জন্য নিষ্কাম কৰ্ম্ম করিবে । কৰ্ম্মসঙ্গীদের, কি প্রকার কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য, তাহা গীতায় অনেক স্থানে লিখিয়াছেন “কৰ্ম্মাণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।” তুমি কৰ্ম্ম করিতে পাের, কিন্তু কৰ্ম্মফলে তোমার কদাপি অধিকার নাই। “যজ্ঞার্থাৎ কৰ্ম্মণোহন্যত্ৰ লোকোহয়ং কৰ্ম্মবন্ধনঃ” পাবমেশ্বরের উদ্দেশ ব্যতিরেকে, অর্থাৎ ফলকামনা করিয়া কৰ্ম্ম কবিলে, সে কৰ্ম্ম দ্বাবা লোক বন্ধন প্ৰাপ্ত হয় ।” স্বয়ং নি:শ্রেয়সং বিদ্বান ন ব্যক্তিজ্ঞায় কৰ্ম্মহি । ন। রাতি বোগিণে পথ্যং বাঞ্ছতেপি ভিষকতমঃ ॥ স্মৰ্ত্তধৃত ষষ্ঠস্কন্ধ বচন । জ্ঞানবান ব্যক্তি অজ্ঞানকে সকাম কৰ্ম্ম করিতে উপদেশ দেন না । যেমন, বেগী ব্যক্তি কুপথ্য প্রার্থনা করিলেও উত্তম বৈদ্য কুপথ্য দেন না । এই প্ৰমাণানুসারে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য ব্যবস্থা লিখিয়াছেন যে - “পণ্ডিতেন।াপি মুখা: কাম্যে কৰ্ম্মণি ন প্ৰবৰ্ত্তয়িতব্যঃ ।” পণ্ডিত ব্যক্তি মুখকে কাম্যকৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত করিবেন না।