পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত স্মাৰ্ত্তধৃত নরসিংহ পুরাণের বিচনানুসারে, লোককে কৰ্ম্ম করিতে প্ৰবৃত্তি ft (vs (3 “জলপ্ৰবেশী চানন্দং প্ৰমোদং বহিসাহসী । ভৃগুপ্ৰপাতী সৌখ্যস্ত রণে চৈবান্তিনিৰ্ম্মলং । অনশন মৃতো য: স্যাৎ সগচ্ছেত্ত ত্ৰিপিষ্টপং ।” যে ব্যক্তি জলে প্ৰবেশ করিয়া মরে, সে আনন্দনাম স্বৰ্গ প্ৰাপ্ত হয়; সাহস পূর্বক অগ্নিতে প্ৰবেশ করিয়া ষে মরে, সে প্রমোদনাম স্বৰ্গ প্রাপ্ত হয় পৰ্বতাদি উচ্চ দেশ হইতে পতিত হইয়া যে মরে, সে সৌখ্য নামক স্বৰ্গ প্ৰাপ্ত হয় ; যুদ্ধে যে মরে, অতি নিৰ্ম্মলনাম স্বৰ্গ প্ৰাপ্ত হয় ; আহাৰ ত্যাগপূর্বক যে মরে, সে ত্ৰিপিষ্টপনাম স্বৰ্গ প্ৰাপ্ত হয়। এস্থলে ‘বিপ্ৰনামা’ বলিতে পারেন যে, সঙ্কল্পত্যাগপূর্বক উক্তপ্রকারে শরীরত্যাগ করিলে নিষ্কাম কৰ্ম্মেব ন্যায় নানাবিধ আত্মহত্যাতে ও চিত্তশুদ্ধি হইবে। “যঃ সৰ্ব্বপাপযুক্তোপি পুণ্য তীৰ্থেষু মানব: | নিয়মেন ত্যজেৎ প্ৰাণান মুচ্যতে সর্বপাতকৈ ৷” স্মৰ্ত্তধৃত বচন । সকল পাপযুক্ত হইয়াও ষে ব্যক্তি নিয়মপূর্বক পুণ্যতীর্থে প্ৰাণত্যাগ করে, সে সর্বপাপ হইতে মুক্ত হয় । ঐ বচন পাঠানস্তর ‘বিপ্ৰনামা” লোককে এরূপ প্ৰবৃত্তি দিতে পারেন। ८, कांभन ड्Jांत्र कब्रिम्र তীর্থমরণে চিত্তশুদ্ধি হইৰে । ‘বিপ্ৰনামা’র ইহা বোধ হইল না যে, স্বৰ্গাদি কামনা না থাকিলে এ প্ৰকার আত্মহননারূপকৰ্ম্মে লোকের প্রবৃত্তি হইতে পারে না । এ প্রকার দুঃসাহস কৰ্ম্মে ষে প্ৰবৃত্তি, তাহা তামসীপ্রবৃত্তি। গীতায় ও উপনিষদে তামসীপ্রবৃত্তি বারদ্বার নিষিদ্ধ হইয়াছে। ‘বিপ্রনামা” লোককে ভবিষ্যপুরাণোক্ত