পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ক্লেশানুভব করিতেন। কেবল কথোপকথন ও পুস্তক প্রচারদ্বারা সহমরণ প্রথার অবৈধতা ও নিষ্ঠুরতা লোককে বুঝাইয়া দিয়া ক্ষান্ত হইতেন না। তিনি কখন কখন কলিকাতার গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইয়া সহগামিনী রমণীর সহগমন নিবারণ জন্য অনেক চেষ্টা করিতেন । আমরা তৎসম্বন্ধে পাঠকবর্গকে একটি গল্প বলিব । বীর নৃসিংহ মল্লিকের পরিবারস্থ কোন একটি স্ত্রীলোক সহমৃতা হইবার জন্য গঙ্গাতীরে উপস্থিত হয়। রাজা রামমোহন রায় এই সংবাদ পাইয়া তৎক্ষণাৎ তথায় গিয়া উপস্থিত হইলেন, এবং সহমরণ হইতে স্ত্রীলোকটিকে প্ৰতিনিবৃত্ত করিবার জন্য র্তাহার আত্মীয়গণকে নানা প্রকারে বুঝাইতে লাগিলেন। র্তাহারা রামমোহন রায়ের মহাদুদ্দেশ্য হৃদয়ঙ্গম করা দূরে থাকুক, যার-পর-নাই বিরক্ত হইয়া উঠিলেন। একজন ক্রোধান্ধ হইয় তাহাকে সম্বোধন পূর্বক বলিলেন, “হিন্দুর কাৰ্য্যে মুসলমান কেন ?” রামমোহন রায় এই অপমান-বাক্যে কিছুমাত্র অসন্তোষ প্ৰকাশ না করিয়া শান্তভাবে র্তাহাদিগকে বুঝাইতেই প্ৰয়াস পাইতে লাগিলেন । কিন্তু যে ভৃত্য র্তাহার সঙ্গে গিয়াছিল, সে প্রভুর অপমান দেখিয়া বড়ই রাগিয়া উঠিল। তিনি তাহাকে স্থির হইতে আজ্ঞা করিলেন । * ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দের মার্চ মাসের এসিয়াটিক জান্যাল নামক পত্রে, উক্তরূপ আর একটি ঘটনার বিষয় লিখিত হইয়াছে। কালীঘাটে কয়েকজন নারী সহমৃতা হইবেন শুনিয়া রামমোহন রায় তথায় উপস্থিত হইয়া। উহা নিবারণের চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। ১৮১৯ খ্ৰীষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে, সতীদাহনিবারণের জন্য গবৰ্ণমেণ্টের

  • যে রামরত্ব মুখোপাধ্যায় রাজার সহিত ইংলণ্ডে গিয়াছিলেন, তাহার নিকটে बांबू ब्राजिनांब्रांद्र१ श्र भशांव्र अशे शब्र)ि स्त्रनिद्रांशिष्ठान।।