পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামাজিক আন্দোলন ○ど)○ প্ৰশংসা বাহির হইয়াছিল, তাহার। পাচ মাসের মধ্যে রাজবিধিদ্বারা সতীদাহ নিবারিত হইয়াছিল। (বৃটিস গবৰ্ণমেণ্ট নৃশংস সতীদাহ প্ৰথা উঠাইয়া দিতে ইচ্ছা করিতেন বটে, কিন্তু তঁহাদের মনে মনে এই আশঙ্কা ছিল যে, পাছে তাম্বারা প্ৰজার ধৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ করা হয়, এবং বিদ্রোহিতা উপস্থিত হয় । ১৮২১ Tica, Roc* Ga, af** Ç3 ° CafÇAG Vist: (House of Commons) যে তর্ক-বিতর্ক হইয়াছিল, তাহাতে, ক্যানিংসাহেব উক্ত আশঙ্কা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। y অনেক ইংলণ্ডীয় রাজনীতিজ্ঞ এবং ভারতবর্ষস্থ রাজকৰ্ম্মচারী সতীদাহ প্রথা উঠাইবার পক্ষে ছিলেন ; কিন্তু তঁহারা তাহাদের অভিপ্ৰায় কাৰ্য্যে পরিণত করিতে সক্ষম হন নাই। হিন্দুদিগের মধ্যে, কতকগুলি শিক্ষিত ভদ্রলোক, উক্ত প্রথার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হন, ইহা একান্ত আবশ্যক হইয়া উঠিয়াছিল। রামমোহন রায়ের প্রাণগত চেষ্টায় এদেশের অনেকগুলি ভদ্রলোক ক্ৰমে ক্ৰমে বুঝিতে পারিলেন যে,সতীদাহ অত্যন্ত অন্যায় ও শাস্ত্ৰবিরুদ্ধ কাৰ্য্য। রামমোহন রায় একদিকে যেমন দেশের অনেকগুলি লোককে বুঝাইয়া দিলেন যে, সতীদাহ প্রথা রহিত হওয়া আবশ্যক, সেইরূপ আবার অন্যদিকে, গবৰ্ণমেণ্টকে বুঝাইলেন যে, সতীদাহ প্ৰথা, শাস্ত্ৰসিদ্ধ নহে ; উহাতে হস্তক্ষেপ করিলে, হিন্দুশাস্ত্ৰবিরুদ্ধ কাৰ্য্য করা হইবে না। সতীদাহসম্বন্ধে রামমোহন রায়ের এই সুমহৎ কাৰ্য্য, ভারতের ইতিবৃত্তে চিরদিন বিঘোষিত হইবে। এই মহৎ কাৰ্য্যের জন্য তিনি অসামান্য পরিশ্রম ও স্বাৰ্থত্যাগ করিয়াছিলেন । তজজন্য ভারতবর্ষ চিরদিন তাহাকে ভক্তি ও কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করিবে । রামমোহন রায় ও লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক সতীদাহানিবারণ সম্বন্ধে আর একটি গল্প আছে। তৎকালীন গবৰ্ণর জেনেরল লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক উক্ত বিষয়ে রামমোহন রায়ের সহিত