৩৬৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তাহারা পরমারাধ্যা জননী, স্নেহপ্ৰতিম ভগিনী প্ৰভৃতিকে জলন্ত চিন্তানলে জীবন্ত দগ্ধ করিতে পারিবেন না, ইহা কি সামান্য পরিতাপের কথা ! ধৰ্ম্মসভা কেন, সমুদায় বঙ্গভূমি,-ভারতবর্ষে হুলস্থূল পড়িয়া গেল । ঘোর কলি উপস্থিত । রামমোহন রায়েব প্ৰতি চতুর্দিক হইতে গালিবর্ষণ হইতে লাগিল। র্তাহাকে সম্পূর্ণরূপে সমাজচ্যুত করা হইল। এই সময়ে কলিকাতার কোন কোন বড় মানুষ বলিতে লাগিলেন যে, তাহাকে মারিয়া ফেলিবেন । বাস্তবিক, রামমোহন রায় ও তাহার বন্ধুগণের পক্ষে অতি সঙ্কটকাল উপস্থিত হইয়াছিল । তাহার হিতৈষী ব্যক্তিগণ, তাহাকে সর্বদা সাবধান হইয়া থাকিতে, বাহিরে যাইবার সময়ে সঙ্গে প্রহরী লইয়া যাইতে পাবামর্শ দিতে লাগিলেন । কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ নিৰ্ভয়ভাবে একাকী নগরের রাজপথে ভ্ৰমণ কবিতেন । একেবারে সাবধান হন নাই, এরূপ নহে। বাহিরে যাইবার সময়ে, বক্ষঃস্থলে, পোষাকে বা ভিতর কিরিচ বাক্ষা কবিতেন । লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ককে অভিনন্দন-পত্ৰ প্ৰদান লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্কের প্রতি কৃতজ্ঞতাপ্ৰকাশ জন্য রামমোহন রায় সবান্ধবে তাহাকে অভিনন্দন-পত্ৰ প্ৰদান করিলেন । ১৮৩০ খ্ৰীষ্টাব্দে ১৬ই জানুয়ারি, বঙ্গাব্দ ১২৩৬ সালের ৪ঠা মাঘে, রাজা রামমোহন রায় টাউন হলে এক সভা করিয়া লর্ড উইলিয়াম বেণ্টিঙ্ককে অভিনন্দন-পত্ৰ প্ৰদান করেন। রামমোহন রায়, কালীনাথ রায়, হরিহর দত্ত এবং অপর কয়েকজন ব্যক্তি, কলিকাতানগরের ৩০ • তিনশত অধিৰাসীর পক্ষ হইয়া উহা গবৰ্ণর জেনেরলকে প্ৰদান করেন । দুইখানি অভিনন্দন-পত্ৰ লিখিত হইয়াছিল । একখানি বাঙ্গালা ভাষায় ও একখানি ইংরেজীতে। বাঙ্গালাখানি মূল । ইংরেজীখানি তাহার অনুবাদ । টাকির
পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।