পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जाभांख्कि उन्ब्लन ○じふ পরিশ্রমকেই পরিশ্রম জ্ঞান করিতেন না। তাহাদিগের শোচনীয় অবস্থা চিরদিন তাহার হৃদয়ে জাগরূক ছিল। সহমরণ, বহুবিবাহ প্ৰভৃতি কুপ্ৰথাজনিত অত্যাচার হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করিবার জন্য র্তাহার প্রাণ নিরন্তর ক্ৰন্দন করিত। দুৰ্ব্বলের প্রতি সবলের অত্যাচার তিনি সহ্যু করিতে পারিতেন না । দরিদ্রের প্রতি ধনীর অত্যাচার এবং স্ত্রীলোকের প্রতি পুরুষের অত্যাচারে তিনি যার-পর-নাই কাতর হইতেন। র্তাহার প্রণীত সহমরণ বিষয়ক গ্রন্থের একস্থলে এদেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পক্ষসমর্থনা করিয়া যাহা লিখিয়াছিলেন, আমরা তাহা নিম্নে উদ্ধৃত করিলাম । এদেশীয় রমণীগণের সম্বন্ধে রামমোহন রায়ের উক্তি “নিবৰ্ত্তক -এই যে কারণ কহিলা তাহা যথার্থ বটে, এবং আমারদিগের সুন্দরীরূপে বিদিত আছে ; কিন্তু স্ত্রীলোককে যে পৰ্য্যন্ত দোষান্বিত আপনি কহিলেন, তাহা স্বভাবসিদ্ধ নহে । অতএব কেবল সন্দেহের নিমিত্তে বধ পৰ্য্যন্ত করা লোকতঃ ধৰ্ম্মতঃ বিরুদ্ধ হয়, এবং স্ত্রীলোকের প্ৰতি এইরূপ নানাবিধ দোষোল্লেখ সর্বদা করিয়া তাহারাদিগকে সকলের নিকট অত্যন্ত হেয় এবং দুঃখদায়ক জানাইয়া থাকেন, যাহার দ্বারা তাহারা নিরন্তর ক্লেশ প্ৰাপ্ত হয়; এ নিমিত্ত এ বিষয়ে কিঞ্চিৎ লিখিতেছি। স্ত্রীলোকেরা শারীরিক পরাক্রমে পুরুষ হইতে প্ৰায় নূ্যন হয়, ইহাতে পুরুষেরা তাহারদিগকে আপনা হইতে দুর্বল জানিয়া যে যে উত্তম পদবীর প্রাপ্তিতে তাহারা স্বভাবতঃ যোগ্য ছিল, তাহা হইতে উহার - দিগকে পূর্বাপর বঞ্চিত করিয়া আসিতেছেন; পরে কাহেন যে, স্বভাবতঃ তাহারা সেই পদ প্ৰাপ্তির যোগ্য নহে ; কিন্তু বিবেচনা করিলে 24