পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭০ মহাত্মা বাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তাহাবদিগকে যে যে দোষ আপনি দিলেন, তাহা সত্য কি মিথ্যা ব্যক্তি হইবেক ।” “প্রথমতঃ, বুদ্ধির বিষয়,-স্ত্রীলোকোব বুদ্ধিব পৰীক্ষা কোন কালে লইয়াছেন যে, অনাযাসেই তাহাবদিগকে অল্পবুদ্ধি কহেন ? কাবণ, বিদ্যাশিক্ষা এবং জ্ঞানশিক্ষা দিলে পাবে, ব্যক্তি যদি অনুভব ও গ্ৰহণ কবিতে না পারে, তখন তাহাকে অল্পবুদ্ধি কহা সম্ভব হয় , আপনাবা বিদ্যাশিক্ষা, জ্ঞানোপদেশ স্ত্রীলোককে প্ৰায় দেন নাই, তবে তাহাবা বুদ্ধিহীন হয়, ইহা কিৰূপে নিশ্চয় কবেন ? ব্যবঞ্চ লীলাবতী, ভানুমতী, কর্ণাট বাজাব পত্নী, কালিদাসেব পত্নী প্ৰভৃতি যাহাকে যাহাকে বিদ্যাভ্যাস কাবাইয়াছিলেন, তাহারা সর্বশাস্ত্ৰে পারিগরূপে বিখ্যাত আছে। , বিশেষতঃ, বৃহদাবণ্যক উপনিষদে ব্যক্তিই প্ৰমাণ আছে যে, অত্যন্ত দুৰূহ-ব্ৰহ্মজ্ঞান তাহা যজ্ঞবল্ক্য আপনি স্ত্রী মৈত্ৰেয়ীকে উপদেশ করিয়াছেন, মৈত্রেয়ীও তাহার গ্রহণপূর্বক কৃতাৰ্থ হয়েন ।” “দ্বিতীয়তঃ, তাহাবদিগকে অস্থিবান্তঃ কবণ কহিয়া থাকেন, ইহাতে আশ্চৰ্য্য জ্ঞান কবি , কাবণ, যে দেশেব পুরুষ মৃত্যুব নাম শুনিলে মুতপ্ৰায হয়, তথা কাব্য স্ত্রীলোক আন্তঃকৰণেব স্থৈায্যদ্বারা স্বামীব উদ্দেশ্যে অগ্নিপ্ৰবেশ কবিতে উদ্যত হয়, ইহা প্ৰত্যক্ষ দেখেন, তথাচ কাহেন, যে তাহাদের অন্তঃকবণের স্থৈৰ্য্য নাই ।” “তৃতীয়তঃ, বিশ্বাসঘাতকতাব বিষয়। এ দোষ পুরুষে অধিক কি স্ত্রীতে অধিক, উভয়েব চবিত্র দৃষ্টি করিলে বিদিত হইবেক । প্ৰতি নগরে, প্ৰতি গ্রামে, বিবেচনা ক’ব যে কত স্ত্রী, পুরুষ হইতে প্ৰতারিত হইয়াছে, আব্ব কত পুরুষ, স্ত্রী হইতে প্ৰতাবণা প্ৰাপ্ত হইয়াছে , আমরা অনুভব কবি যে, প্ৰতাবিত স্ত্রীব সংখ্যা দশ গুণ অধিক হইবেক ; তবে পুরুষেরা প্ৰায় লেখা পড়াতে পাবেগ এবং নানা রাজকৰ্ম্মে অধিকাব বাখেন,