পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামাজিক আন্দোলন ७११ পতিবিত্তসম্বন্ধে হিন্দুরমণীর অধিকার খর্ব করিয়াছেন । তিনি বলেন, দায়তত্ত্ব ও দায়ভাগলেখকগণের মতে, যদি স্বামী, জীবদ্দশায় পুত্ৰহীন পত্নীকে সম্পত্তি ভাগ করিয়া না দিয়া যান, তাহা হইলে তাহার মৃত্যুর পর তিনি তাহাতে অধিকারিণী হইবেন না । যে স্ত্রীলোকের কেবল একমাত্র পুত্ৰ আছে, তাহারও স্বামিবিত্তেতে স্বত্ব জন্মিবে না, পুত্ৰ বিষয়াধিকারী হইবে । পুত্রের মৃত্যুতে পুত্ৰবধু বিষয়াধিকারিণী হইবে, তথাচ স্বামিসম্পত্তিতে র্তাহার লেশমাত্র অধিকার জন্মিবে না । পুত্র জীবিত থাকিতে অন্নবস্ত্রের জন্য তাহার মুখাপেক্ষা করিতে হইবে,-পুত্রের মুখাপেক্ষার অর্থ অনেক স্থলে পুত্রবধুর মুখাপেক্ষা । পুত্রের মৃত্যু হইলে, তঁহাকে সম্পূর্ণরূপে পৌত্র বা পুত্রবধুর প্রতি নির্ভর করিতে হইবে । রাজা রামমোহন রায় প্ৰদৰ্শন করেন যে, ইয়োরোপীয় ব্যবস্থাশাস্ত্ৰ অপেক্ষা প্ৰাচীন হিন্দুশাস্ত্ৰে দায়াধিকার সম্বন্ধে নারীজাতির প্রতি অনেক গুণে ন্যায় ও দয়া প্ৰকাশ করা হইয়াছে। কিন্তু আধুনিক টীকাকারদিগের দোষাবহ মীমাংসার জন্য র্তাহারা সে সৌভাগ্য হইতে বঞ্চিত হইতেছেন। কল্য যিনি গৃহের কত্রী ছিলেন, আদ্য স্বামীর মৃত্যুতে তিনি সম্পূর্ণরূপে পুত্র ও পুত্রবধুদিগের অনুগ্রহের পাত্রী ; অনেক সময়ে অক্ষািবজ্ঞা ও অনাদরের পাত্রী । তিনি তাহাদিগের অনুজ্ঞাব্যতীত একটি পয়সা কি একখানি বস্ত্ৰও কাহাকে দান করিতে পারেন না । পুত্রবধূ ও শাশুড়ীর মধ্যে বিবাদ হইলে, অনেক সময়ে পক্ষপাতী পুত্ৰ, বধূর পক্ষ অবলম্বন পূর্বক জননীকে নিৰ্য্যাতন করে। বহুবিবাহের প্রাবল্যবশতঃ এ দেশে বিধবা বিমাতার সংখ্যা অধিক । সুতরাং অনেক অনাথ পুত্ৰহীন বিধবাকে সপত্নীপুত্রের হস্তে যার-পর-নাই যন্ত্রণাভোগ कब्रिड श् । রাজা রামমোহন রায় বিধবাদিগের দুৰ্গতি বৰ্ণনা করিয়া তৎপরে