পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন যে, দায়াধিকার সম্বন্ধীয় অন্যায় ব্যবস্থা বঙ্গদেশে সহমবণ ও বহুবিবাহের আধিক্যের একটি কাবণ । তিনি বলেন, ভারতবর্ষেব অপবাপর স্থান অপেক্ষা বঙ্গভূমিতে সহমরণের সংখ্যা অধিক । কেবল ভ্ৰান্ত বিশ্বাস ও বাল্য-সংস্কার এই আধিক্যের কারণ নহে । স্বামীব মৃত্যুর পব, তাহার বিত্ত হইতে বঞ্চিত থাকিয়া বিধবাগণকে কি প্ৰকার কষ্টভোগ করিতে হয়, তাহা স্বচক্ষে প্ৰত্যক্ষ কবিয়া তাহাদিগের জীবনের প্রতি মমতা হ্রাস হইয়া যায় ; সুতরাং ইহাকালোব দারুণ দুঃখেব হস্ত হইতে নিস্কৃতিলাভ করিয়া পরীকালে স্বৰ্গসুখ ভোগেব আশায় অনেকে সহমৃতা হইতে সহজে সম্মতি প্ৰদান করে ; দায়াধিকারের অন্যায় ব্যবস্থা বহুবিবাহেব আধিক্যের কাবণ কেন ? যদি পুরুষ জানিত যে, তাহাব বিবাহিত পত্নীকে সম্পত্তির ভাগ দিতে হইবে, তাহা হইলে সে নিশ্চয়ই অধিক সংখ্যায়ু বিবাহ করিতে সঙ্কুচিত হইত। যতই কেন বিবাহ করি না, কোনও স্ত্রীই বিত্তের অংশ ভাগিনী হইবে না, এমন কি, তাহার ভরণ-পোষণের ভাব পৰ্য্যন্ত গ্ৰহণ করিতে হইবে না, এরূপ জানিলে, লোকের বহুবিবাহ-প্রবৃত্তি প্ৰবল হইবােবই কথা । কন্যাপণ বা কন্যাবিক্রয় কন্যাবিক্রয়ুরূপ কদাচারের বিরুদ্ধে রাজা রামমোহন রায় লেখনীচালনা করিয়াছিলেন । তিনি একস্থলে বলিতেছেন যে, নীচ শ্রেণীর ব্ৰাহ্মণ এবং উচ্চ শ্রেণীর কায়স্থাদিগের মধ্যে কন্যাবিক্রয় প্ৰথা প্ৰচলিত আছে। যে ব্যক্তি অধিক অর্থ দিতে পারে, তাহারই সহিত র্তাহারা কন্যার বিবুহি দিয়া থাকেন। তঁহারা অর্থলোভে বৃদ্ধি, রুগ্ন ও অঙ্গহীন ব্যক্তিব সঙ্গেও কন্যার বিবাহ দিয়া থাকেন। ইহার ফল। এই হয় যে,