পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত উক্ত প্ৰথাবি অসারত্ব বুঝাইয়া দিতে ক্ৰটি করেন নাই । সংস্কৃত ভাষায় মৃত্যুঞ্জয়াচাৰ্য্য-বিবচিত ‘বজন্মসূচি’ নামে একখানি গ্রন্থ আছে। উহাতে জাতিভেদেব অযুক্ততা অখণ্ডনীয় যুক্তিসহকাবে প্ৰতিপন্ন হইয়াছে। রাজা রামমোহন রায় ১৭৪৯ শাকে উহার প্রথম নির্ণয় নামক প্ৰথম অধ্যায়টি অনুবাদ করিয়া মূল এবং তাহার ভাষা বিববণ প্ৰকাশ কবেন। ‘বজলুচি’ গ্রন্থের যে অংশটুকু বাজা বামমোহন বায প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, আমবা নিম্নে তাহাব সারমর্ম পাঠক বর্গেব নিকট উপস্থিত কবিতেছি । ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য শূদ্র এই চাবি বর্ণ। ইহাব মধ্যে ব্রাহ্মণেব স্বরূপ কি, বা ব্ৰাহ্মণ কি, ইহা বিচাবি করিয়া দেখা আবশ্যক । কেননা, শাস্বানুসাবে ব্ৰাহ্মণ সকল বর্ণেব গুরু । ব্ৰাহ্মণ শব্দে কি বুঝায় ? জীবাত্মা, দেহ, জাতি, বর্ণ, ধৰ্ম্ম, পাণ্ডিত্য, কৰ্ম্ম, জ্ঞান, ইহাব কিসে ব্ৰাহ্মণত্ব হয়, অথবা ইহাব মধ্যে ব্ৰাহ্মণ কি ? যদি বল জীবাত্মা ব্ৰাহ্মণ, সে কথায় দোষ হয় । প্রথমতঃ, সকল ? প্রাণীর জীবাত্মাব স্বৰূপ এক বলিয়া স্বীকাব কবিলে, সকল প্ৰাণী বা ব্ৰাহ্মণত্ব প্ৰতিপন্ন হয়। দ্বিতীয়তঃ, শাবীবভেদে জীবাত্মা ভিন্ন ভিন্ন স্বীকাব কবিলে, হাঁহ জন্মে যে জীব ব্ৰাহ্মণ আছেন, তিনি কৰ্ম্মানুসাবে জন্মান্তরে শূদ্রদেহ প্ৰাপ্তি হইলে তাহাব শূদ্র ত্ব প্রাপ্তি হইবে। তৃতীয়তঃ, ব্ৰাহ্মণরূপে যে দেহকে ব্যবহাবি কব যাইতেছে, তাহাতে যে জীবাত্মা আছেন, তিনি ব্ৰাহ্মণ, এমন কথা বলিলে, ব্ৰাহ্মণত্ব কেবল ব্যবহাবমূলক হয়। ইহা স্বীকার কবিতে হয় যে, পবিমাৰ্থত; উহা কিছুই নহে। যদি কোন অজ্ঞাতকুলশীল শূদ্র, ব্ৰাহ্মণবেশ ধারণ করিয়া ব্ৰাহ্মণরূপে ব্যবহাব করে, তাহাকে ব্ৰাহ্মণ বলা যাইতে পাবে কি না ? তাহার সহিত এক পংক্তিতে ভোজন এবং এক শয্যায় শয়ন উপবেশনাদি কবিলে