পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতি \S)SS) হইয়াছিল। রামমোহন রায়েব দ্বারাই সর্ব প্রথমে সাধারণপাঠ্য বাঙ্গালা গদ্যগ্ৰন্থ রচিত ও প্ৰকাশিত হইয়াছিল । তিনি ১৭৩৭ শকে, ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে, বেদান্তদর্শনের ভাষ্য প্ৰকাশ করেন। তঁহার প্রতিবাদকারিগণের গ্ৰন্থ, ইহার অনেক পরে প্রকাশিত হইয়াছিল। রামমোহন রায়, সাধারণপাঠ্য বাঙ্গলা গদ্যগ্রন্থ প্ৰকাশের প্ৰবৰ্ত্তক । যে সময়ে রামমোহন রায়, গদ্য গ্রস্থ প্ৰকাশ করেন, সে সমযে যে এদেশে কোন সাধারণপাঠ্য গদ্যগ্রন্থ ছিল না,-গদ্য গন্থ পাঠ ক’বা যে লোকের অভ্যাস ছিল না, তাহার একটি প্ৰমাণ এই,-বামমোহন রায় প্রথম গদ্য গ্রন্থে, কিরূপে গদ্যপাঠ করিতে হয়, তাহার প্রণালী শিখাইয়া দিয়াছেন । ইহাতে নিসংশয়ে প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে, সাধারণের মধ্যে গদ্যগ্রন্থ পাঠের, তিনিই প্ৰথম প্ৰবৰ্ত্তক । আমরা নিম্নে তাহার গ্রন্থ হইতে উক্ত স্থানটি উদ্ধৃত কবিলাম । “প্ৰথমতঃ, বাঙ্গালা ভাষাতে, আবশ্যক গৃহব্যাপাব নিৰ্ব্বাহের যোগ্য কেবল কতকগুলিন শব্দ আছে । এ ভাষা সংস্কৃতেব যেরূপ অধীন হয়, তাহা অন্য ভাষার ব্যাখ্যা, ইহাতে করিবার সময়, স্পষ্ট হইয়া থাকে। দ্বিতীয়তঃ, এ ভাষার গদ্যেতে অদ্যাপি কোন শাস্ত্ৰ কিম্বা কাব্য বর্ণনে আইসে না । ইহাতে এতদেশীয় অনেক লোক অনভ্যাস প্ৰযুক্ত দুই তিন বাক্যের অন্বয় কবিয়া গদ্য হইতে অর্থবোধ করিতে হঠাৎ পারেন না । ইহা প্ৰত্যক্ষ কানুনের তর্জমাব অর্থবোধেব সময় অনুভব হয়। অতএব, বেদান্তশাস্ত্রের ভাষার বিবরণ সামান্য আলাপের ভাষার ন্যায় সুগম না। পাইয়া কেহ কেহ ইহাতে মনোযোগের নূ্যনত করিতে পারেন। এ নিমিত্ত ইহার অনুষ্ঠানের প্রকরণ লিখিতেছি । র্যাহাদের সংস্কৃতে বুৎপত্তি কিঞ্চিতো থাকিবেক, আর যাহারা বুৎপন্ন লোকের সহিত