পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪১ ও মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত জীবনেব অবশ্য কৰ্ত্তব্যের মধ্যে গণ্য করিতেন । যে রামমোহন রায় অসাধারণ উৎসাহ সহকারে ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, যে রামমোহন রায় সুতীক্ষ্ণ তর্কাস্ত্রে পৌত্তলিক, খ্ৰীষ্টিয়ান ও মুসলমানদিগের বিচার জাল ছিন্ন-ভিন্ন করিয়াছিলেন, যে রামমোহন রায় ভারতবর্ষে একেশ্বরবাদ চিবপ্ৰতিষ্ঠিত কবিবার জন্য ব্ৰাহ্মসমাজ নিখাত করিয়া ছিলেন ; সেই রামমোহন বায়ই ভারতবাসিনী অনাথ বিধবা গণকে জলন্ত চিতা হইতে বাক্ষা কবিয়াছিলেন, সেই রামমোহন রায়ই অবলাকুলের মঙ্গলের জন্য বহুবিবাহ ও দায়াধিকারের অন্যায় ব্যবস্থাব বিরুদ্ধে আপনার তেজস্বিনী লেখনী সঞ্চালন করিয়াছিলেন, সেই রামমোহন বায়ই ভাবতে বা অশেষ অনিষ্টের মূল জাতি ভেদ প্ৰথাবি মস্তকে কুঠাবাঘাত করিয়াছিলেন, সেই বামমোহন বাযইট জাতীয় সাহিতের উন্নতির জন্য, বাঙ্গালা ভাষায় ব্যাকরণ ও সাধারণ হিতক বা অন্যান্য বচন প্ৰকাশ কবিযছিলেন ; আবাব সেই রামমোহন বায়ই স্বদেশীয় ভ্ৰাতৃগণেব বৈষয়িক ও বা জনৈতিক উন্নতির জন্য প্ৰাণগত যত্ন করিয়াছিলেন । এমন কি, ধৰ্ম্ম ? সমাজ সংস্ক বেব ন্যায়, তিনি বা জনীতি সম্বন্ধেও "অদ্বিতীয় নেতা ছিলেন । তাহাব সময়েপ প্ৰায সমুদয় বা জনৈতিক আন্দোলনের তিনিই মূল । বাল্যকাল হইতে ই বামমোহন রায়েব রাজনৈতিক ভাব প্ৰবল ছিল । উপক্ৰমণিকায় তাহ বা ধে পত্রেব অনুবাদ প্ৰকাশিত হইয়াছে, তাহাতে জানা যাইতেছে যে, তিনি ষোড়শ বৎসস্তু বয়ঃক্রমে বিদেশীয় অধিকারের প্ৰতি আন্তরিক ঘূণাবশতঃ ভারতবর্ষ পবিত্যাগপূর্বক হিমালয়ের আপার পার্শ্ববত্তী দেশ সকল ভ্ৰমণার্থ গমন করিয়াছিলেন । কিন্তু ইংরেজ রাজত্বের প্রতি তাহার এ প্রকার বিদ্বেষভাব স্থায়ী হয় নাই । তিনি ক্ৰমে বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, ইংবেজশাসন হইতে ভারতের প্রভূত কল্যাণ উৎপন্ন হইবে। সে যাহা হউক, তিনি ভারতবর্ষে অবস্থানকালে এ দেশের ।