পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বপুরুষ, মাতা-পিতা ও বাল্যকাল ΣΣο সহায়সম্বল-বিহীন অবস্থায়, তিব্বত দেশে গিয়া উপস্থিত হইল, এবং এই অসাধারণ বালক সেই বন্ধুহীন দেশে কিছুকাল বাস কবিল । স্ত্ৰীজাতির প্রতি শ্রদ্ধা বামমোহন বায় এখানে মধ্যে মধ্যে বিপদে পীডিতেন । তিব্বতবাসিগণ লামা উপাবিধারী জীবিত মনুষ্যবিশেষকে এই সুবিশাল ব্ৰহ্মাণ্ডেব সৃষ্টিকৰ্ত্তা বলিয়া বিশ্বাস কবে । লামাব মৃত্যু হইলে তাহাবা কােন কি গুলি বিশেষ লক্ষণাক্রোন্ত একটি বালককে তাহার পদে প্ৰতিষ্ঠিত করে। মনে কবে যে, লামা এক শরীব পবিত্যাগ পূর্বক শবীরান্তব কবিয়াছেন মাত্র । তিব্বত দেশে অবতাববাদ পাবাকাষ্ঠা প্ৰাপ্ত হইয়াছে। যে রামমোহন বায় পৌত্তলিকতাব প্ৰতিবাদ কবিয়া পিতৃগৃহ হইতে বিদূৰ্ণবত হইযাছেন, তাহাব উহা সহ্য হইবে কেন ? তিনি সেই বন্ধুবিহীন দেশে মধ্যে মধ্যে অকুতো ভয়ে এই ভয়ানক কুসংস্কাবেব প্রতিবাদ কবিতেন । তাঁদেশবাসী পুরুষগণ এই ধৰ্ম্ম-বিরুদ্ধ কাৰ্য্যোব জন্য তাহাব প্ৰতি যাব-পব-নাই ক্রুদ্ধ হষ্টত, এবং তাঁহাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে অগ্রসর হইত। কিন্তু তিনি কোমল-হৃদয়া বামণীকুলেব বিশেষ স্নেহপাত্র ছিলেন, তাহাবাই তাহাকে এই সকল বিপদ হইতে বাক্ষা করিতেন। রাজা বামমোহন বায় চিবদিন নবী জাতিব পক্ষপাতী ছিলেন। তঁহার প্রকাশিত পুস্তকে, বন্ধুবান্ধবসন্নিধানে, স্বদেশে বা বিদেশে সর্বত্র, তিনি নাৰী-চরিত্রেব মহত্ত্ব কীৰ্ত্তন কবিতেন । তিব্বতবাসিনী রমণীগণেব সদ্ব্যবহাব ততাব তরুণহৃদয়ে এই নারী ভক্তিৰ বীজ বপন করিয়া দেয়। কুমাৰী কাপেণ্টার বলেন, “বামমোহন বায়েব সুকোমল স্নেহপ্রবণ হৃদয়, চল্লিশ বৎসর পরেও, অত্যন্ত আগ্রহের সহিত এই স্কময়ের ঘটনা সকল স্মরণ কবিতা । তিনি ( রামমোহন রায় )