পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত যাহা হউক। ১৮২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরাকিটু কোটে রাধাপ্ৰসাদ নির্দোষী প্ৰতিপন্ন হন । তৎপরে উক্ত মোকদ্দমা সদর নিজামত আদালতে আসিলে, সেখানেও তিনি নিরপরাধী প্ৰতিপন্ন হইয়াছিলেন । দ্বিতীয় অধ্যায়ে উক্ত হইয়াছে যে, রামমোহন রায় পুত্র ও পুত্রবধুর সহিত মাতাকর্তৃক পিতৃগৃহ হইতে তাড়িত হইয়া রাধানগরের নিকটবৰ্ত্তী রঘুনাথপুর গ্রামে বাটী নিৰ্ম্মাণ করেন। উক্ত বাটীতে র্তাহার কনিষ্ঠ পুত্ৰ রমাপ্ৰসাদ জন্মগ্রহণ করেন। জ্যেষ্ঠের বয়স তখন বিংশতি বৎসর। তিনি উভয় পুত্রকে লইয়াই কলিকাতার বাটীতে বাস করিতেন। মধ্যে মধ্যে রঘুনাথপুরে গমন করিতেন। তাহার মাতার সহিত অসম্মিলন স্থায়ী হয় নাই। তিনি পুত্রের মহত্ত্ব অনুভব করিয়া তাহার সহিত পুনৰ্ম্মিলিত হইয়াছিলেন এবং কিছুকাল পরে, সমস্ত জমিদারী রামমোহন, জগন্মোহন ও রামলোচনের পুত্ৰ-পৌত্রদিগের মধ্যে বিভাগ করিয়া দিয়া জগন্নাথদর্শনে গমন করেন । তিনি সেখানে একবর্ষাকাল কিরূপভাবে অবস্থিতি করিয়া পরলোকযাত্রা করেন, তাহ পূর্বে উক্ত হইয়াছে। মাতৃবিয়োগের কিছুদিন পরেই তাহার মধ্যম স্ত্রী শ্ৰীমতী দেবীর মৃত্যু হইল। তখন কনিষ্ঠ পুত্র রমা প্ৰসাদের বয়স পাঁচ বৎসর মাত্র। কৃষ্ণনগর হইতে শ্ৰীমতী দেবীর কঠিন পীড়ার সংবাদ আসিলে, তিনি তৎক্ষণাৎ রাধাপ্ৰসাদকে তথায় পাঠাইয়া দিলেন এবং এই কথা বিশেষ করিয়া বলিয়া দিলেন যে, যদি তোমার মাতার সঙ্কটাপন্ন পীড়া দেখ, তবে অতি শীঘ্ৰ আমাকে সংবাদ দিবে ; আর যদি তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন, তবে কোনক্রমে তাহার মুখাগ্নি করিও না। অল্পকাল পরেই শ্ৰীমতী দেবীর মৃত্যুসংবাদ আসিল। ইহা বলা বাহুল্য যে, রামমোহন রায় স্ত্রীবিয়োগে শোকাৰ্ত্ত হইয়াছিলেন। র্তাহার প্রদৌহিত্ৰ আৰ্য্যদর্শন পত্রে লিখিয়াছিলেন যে, তিনি কৃষ্ণনগর গমন করিয়া পরলোক গতা