পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারিবারিক ঘটনা এবং বিলাতগমনের উদ্যোগ। ৪২৯ বিলাত যাইবার পূর্বেই সেখানে তঁহার যশ: বিস্তীর্ণ হইয়াছিল । তঁহার প্ৰণীত খৃষ্টধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় ইংরেজী পুস্তক সকল লণ্ডননগরে মুদ্রিত হইয়া প্ৰচারিত হইয়াছিল। এতদ্ব্যতীত এ দেশের অনেক সুবিজ্ঞ ইংরেজ, রামমোহন রায়ের মহৎ কাৰ্য্য ও ক্ষমতার বিষয় ইংলণ্ডবাসিগণের অবগতির জন্য তথায় লিখিয়া পাঠাইতেন। বিলাত গমনের পূর্বে, ইয়োরোপীয়দিগের মধ্যে, রামমোহন রায়ের যশঃ কি প্ৰকার বিস্তৃত হইয়াছিল, ইহা প্ৰদৰ্শন করিবার জন্য, মিস কার্পেণ্টার তাহার গ্রন্থে রামমোহন রায় সম্বন্ধে তৎকালীন কোন কোন সুবিজ্ঞ ইংরেজের লেখা উদ্ধৃত করিয়াছেন । আমরা তাহা হইতে কয়েকটি স্থান অনুবাদ করিয়া দিলাম । র্তাহার বিলাতগমনের পূর্বে তাহার সম্বন্ধে কোন কোন ইয়োরোপীয়ের মত ব্যাপটিষ্ট মিসনারী সোসাইটীর ১৮১৬ খৃষ্টাব্দের বিজ্ঞাপনীতে রামমোহন রায়ের উল্লেখ আছে। “রামমোহন রায় একজন কলিকাতার ধন্যবান রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণ। ইনি সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত। পারস্য ভাষায় ইহার জ্ঞান এত অধিক যে, লোকে ইহাকে মৌলবী রামমোহন রায় বলিয়া থাকে। ইনি বিশুদ্ধ ইংরেজী লিখিয়া থাকেন এবং উক্ত ভাষায় গণিত ও মনোবিজ্ঞানের পুস্তক সকল পাঠ করেন। তিনি শ্ৰীরামপুরে আমাদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন। তিনি এক্ষণে কেবল একেশ্বরবাদী মাত্ৰ ( Theist ) ; যীশুখৃষ্টকে শ্রদ্ধা করেন, কিন্তু তঁাহাদ্বারা পাপের প্রায়শ্চিত্তে বিশ্বাস করেন না । * * তিনি অত্যন্ত সচ্চরিত্র লোক, কিন্তু গোড়া হিন্দুরা বলেন যে, তিনি বড় দুষ্ট লোক ৷” ১৮১৬ খ্ৰীষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে একখানি পত্রে ইয়েটুস সাহেব রামমোহন রায়ের বিষয়ে এইরূপ লিখিয়াছিলেন ;-“এক বৎসর হইল,