পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারিবারিক ঘটনা এবং বিলাতগমনের উদ্যোগ ৪৩৫ লোক। যদিও তঁাহার ক্ষমতার জন্য পৃথিবীর সকল অংশের লোক তাহার প্রশংসা করিতেছে, তথাচ কেবল ক্ষমতা নয়, তাহার সদগুণ সকল,-ৰ্তাহার জ্ঞানালোকসম্পন্ন হিতৈষণাপূর্ণ হৃদয় (স্বাভাবিক শক্তি ও উপাৰ্জিত বিদ্যার ন্যায় )। পরোপকারিতাতেও অন্য সকলের অপেক্ষা তঁহাকে শ্রেষ্ঠ করিয়াছে।” রাজারাম ও রামরত্ব রামমোহন রায় বিলাতযাত্রার জন্য প্ৰস্তুত হইলেন । স্থির হইল যে, র্তাহার সহিত র্তাহার পালিতপুত্র রাজারাম, রামরত্ন মুখোপাধ্যায় এবং রামহরি দাস গমন করিবেন । * রাজারাম সম্বন্ধে রামমোহন রায়ের একটি দুর্নােম আছে ; সুতরাং রাজারামের প্রকৃত বৃত্তান্ত পাঠকবর্গকে অবগত করা আবশ্যক । ডিক্‌ নামে একজন সিবিলিয়ান সাহেব হরিদ্বারের মেলায় একটি অনাথ ও পরিত্যক্ত বালককে কুড়াইয়া পাইয়া প্ৰতিপালন করিয়াছিলেন । সাহেব যখন বিলাত যান, রামমোহন রায়কে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, উক্ত বালকের বিষয়ে তিনি কি করিবেন ? রামমোহন রায় দয়ার্ডচিত্ত হইয়া তাহাকে আশ্রয় দিতে সম্মত হইলুেন। রামমোহন রায়ের একজন বন্ধু লিখিয়াছেন যে, তিনি উক্ত বালকের বিষয়ে একদিন বলিয়াছিলেন, “যখন আমি দেখিলিমে, যে একজন খ্ৰীষ্টিয়ান ইংরেজ একটি দরিদ্র অনাথ বালকের মঙ্গলের জন্য এত যত্ব করিতেছেন, তখন আমি দেশের লোক হইয়া তাহাকে আশ্রয়

  • রাজা রামমোহন রায়ের প্রদৌহিত্র শ্ৰীযুক্ত নন্দমোহন চট্টোপাধ্যায় প্রণীত ‘মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় সম্বন্ধীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গল্প' নামক পুস্তকে এইরূপ লিখিত আছে - "রাজা রামমোহন রায়ের সহিত যাহারা ইংলণ্ড গমন করেন, তাহদের প্রকৃত নাম পরিবর্তন করিয়া তিনি আপন নামের যোগে নাম রাখেন। রামরতনের পূর্ব নাম শাস্তু, এবং রামহরি দাসের পূর্ব নাম হরিদাস।”