পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৪০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত হইল। শারীরিক কষ্ট সত্ত্বেও, তিনি ফরাসী জাহাজে একবার যাইবার জন্য অতিশয় ব্যগ্ৰ হইলেন। ফরাসী জাহাজে স্বাধীনতার পতাকা দেখিয়া র্তাহার উৎসাহানল প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠিল । শরীরের কষ্ট তিনি গ্ৰাহ করিলেন না। উৎসাহে কষ্টবোধ চলিয়া গেল। তাহাকে ফরাসী জাহাজে লইয়া যাওয়া হইল। জাহাজের ফরাসিগণ তাহাকে উপযুক্তরূপ অভ্যর্থনা করিলেন। ফরাসী-স্বাধীনতা-পতাকার নিম্নে আসিয়া তিনি কত আনন্দলাভ করিয়াছেন, তাহা তিনি ইণ্টারপ্রেটরের দ্বারা ফরাসীগণকে জানাইলেন ; পার্থিব শক্তিব উপয় ন্যায়ের জয় প্ৰকাশ হইতেছে বলিয়া র্তাহার এত আনন্দ । ফরাসী জাহাজ ত্যাগ করিয়া আসিবার সময়, তিনি da:%: <rfa CVS officia ;-“glory, glory, glory to France " ফরাসী দেশের গৌরব ! ফরাসী দেশের গৌরব ! ইত্যাদি । উত্তমাশা অন্তরীপের কতকগুলি প্ৰধান প্ৰধান ব্যক্তি, তিনি যে হোটেলে গিয়াছিলেন, তথায় তাহার সহিত দেখা করিতে আসিয়া তাহার সাক্ষাৎ না পাইয়া, তথায় তাহদের কার্ড রাখিয়া গিয়াছিলেন । কেহ কেহ বা জাহাজে পৰ্য্যন্ত আসিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন । সদরল্যাণ্ড সাহেব লিখিতেছেন যে, যতই আমরা ইংলণ্ডের নিকটবৰ্ত্তী হইতে লাগিলাম, ততই রাজা রামমোহন রায়ের চিত্ত পালেমেণ্টে তখন কি হইতেছে জানিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিতে লাগিল । তিনি আমাদের জাহাজের কাপ্তেনকে মিনতি করিয়া বলিয়াছিলেন যে, ইংলণ্ড হইতে কোন জাহাজ আসিতেছে দেখিলে, তিনি যেন তাহার আরোহিগণকে জিজ্ঞাসা করেন যে, পালেমেণ্টে কি হইতেছে। পরিশেষে আমরা বিষুবরেখার নিকটবৰ্ত্তী হইলে, জাহাজ দেখিতে পাইলাম। তাহার আরোহিগণ আমাদিগকে এমন সকল সংবাদপত্র