পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৪২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত লিভারপুল নগরে পৌঁছান ১৮৩১ সালের ৮ই এপ্রেল দিবসে, চারিমাস ২৩ দিনে “অ্যালবিয়ান” তাহার গম্য স্থানে উত্তীর্ণ হইল। রামমোহন রায়ু সেই দিনেই লিভারপুল নগরে গিয়া উপস্থিত হইলেন। রামমোহন রায়ের ইংলণ্ড পৌছিবার সংবাদ পাইয়া উইলিয়ম র্যাথবোন সাহেব তাহার “গ্রীনব্যাঙ্ক” নামক ভবনে বাস করিবার জন্য র্তাহাকে অনুরোধ করিলেন । কিন্তু তিনি স্বতন্ত্র ও স্বাধীনভাবে অবস্থিতি করাই শ্রেয়স্কর মনে করিয়া র্যাড লিস হোটেল নামক এক প্ৰসিদ্ধ হোটেলে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। সেখানে বহুসংখ্যক ভদ্রলোক, অনেক সন্ত্রান্ত ব্যক্তি, তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেন। একজন ইংলণ্ডবাসী জাহাজের কোন সামান্য কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়া কলিকাতায় আসিয়াছিল। তথায় সে রামমোহন রায়ের যশোর কথা শুনিয়া অপার সারকিউলার রোডে তাহার বাটী দেখিতে গিয়াছিল। গৃহস্বামীর সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয় নাই ; কিন্তু গৃহের সুপ্রিশস্ত প্ৰাঙ্গণ হইতে র্তাহার স্মরণার্থ চিহ্নস্বরূপ একটি দ্রব্য কুড়াইয়া লইয়া আসিয়াছিল, এবং দেশে পুনরাগমনের পরেও উহা যত্বপূর্বক রক্ষা করিয়াছিল । সে ব্যক্তি সামান্য অবস্থার লোক হইলেও রামমোহন রায় তাহাকে দেখিয়া অত্যন্ত আহলাদ প্ৰকাশ করিলেন । উইলিয়ম রস্কোর সহিত সাক্ষাৎ লিভারপুলে সুপ্ৰসিদ্ধ হাঁতিহাসজ্ঞ পণ্ডিত ও ইতিহাসলেখক উইলিয়ম রস্কোর সহিত রামমোহন রায়ের সাক্ষাৎ হইয়াছিল। রস্কোর চরিত্যাখ্যায়ক বলেন। “তিনি অল্প বয়সে খ্রীষ্টের উপদেশ সকল সংগ্ৰহ করিয়া একখানি পুস্তক করিয়াছিলেন, কিন্তু উহা সমাপ্ত করিতে পারেন।