পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ইংলণ্ডযাত্রা ও ইংলণ্ড-বাস 886 মহাপুরুষ বলিয়া অনুভব করিয়াছিলেন। র্তাহার মুখশ্ৰী ও ব্যবহারে সৌন্দৰ্য্য ও শক্তি অনুভব করিয়াছিলেন । যে সময়ে রামমোহন রায়ের সহিত রস্কো সাহেবের সাক্ষাৎ হয়, তখন তাহার বয়স অষ্টসপ্ততি বৎসর । রামমোহন রায়ের সহিত সাক্ষাতের পর তিনি অধিক দিন জীবিত ছিলেন না । সেই বৎসর ৩০শে জুন দিবসে তিনি পরলোক গমন করেন । লিভারপুলে তিনি অতি অল্পকালই অবস্থিতি করিয়াছিলেন । পালেমেণ্ট মহাসভায় রিফরম বিল ও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে তর্ক-বিতর্ক শুনিবার জন্য তিনি শীঘ্রই লণ্ডন যাইতে বাধ্য হইলেন । যাইবার সময় রস্কো, লর্ড ব্রুহামকে ( Brougham ) একখানি পত্র দিলেন। উক্ত পত্রে তিনি রামমোহন রায়ের পূর্ব বৃত্তান্ত ও র্তাহার ইংলণ্ড আসিবাব উদ্দেশ্য সংক্ষেপে ব্যক্তি করিয়া তাহাকে পালেমেণ্ট সভায় গ্যালারির নীচে আসন দিবার জন্য অনুরোধ করিলেন । হুগলি কলেজের ভূতপূর্ব অধ্যক্ষ (Principal ) স্বগীয় সদরল্যাণ্ড সাহেব, রামমোহন রায়ের লিভারপুল অবস্থিতিকালের যে বৃত্তান্ত লিখিয়া গিয়াছেন, আমরা তাহা হইতে কয়েকটি কথা নিম্নে গ্ৰহণ করিলাম :- লিভারপুল নগরে রামমোহন রায়ের পৌছিবার সংবাদ প্ৰকাশিত হইবামাত্র তত্ৰত্য প্ৰসিদ্ধ ব্যক্তিমাত্রেই তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য আসিতে লাগিলেন । রামমোহন রায়কে প্ৰতিদিন সন্ধ্যাকালে অন্তত ছয় জন ভদ্রলোকের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতে হইত। বড়লোকদিগের সহিত দেখা করিবার জন্য পূর্বাহে মধ্যাহ্নে ও সায়াহ্নে সর্বদাই র্তাহাকে বাহিরে যাইতে হইত। সকল সময়ই পূর্বাহে বা সায়াহ্নে আহার করিবার সময়ে পৰ্য্যন্ত লোকে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিত। তাহদের সহিত রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্ম ও রাজনীতি বিষয়ে তর্কবিতর্ক হইত।