পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৪৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত লিভারপুল নগরে সর্বপ্রথমে রামমোহন রায় একটি ইউনিটেরিয়ান উপাসনালয়ে উপস্থিত হন । তৎপূর্বে তিনি কোন প্ৰকাশ্য স্থানে গমন করেন নাই। উক্ত উপাসনালয়ে গ্রস্থি নামক এক ব্যক্তি আচাৰ্য্যের কাৰ্য্য করিয়াছিলেন । অন্যের ধৰ্ম্মবিশ্বাস সম্বন্ধে অসীম শ্রদ্ধার কৰ্ত্তব্যতা বিষয়ে তিনি উপদেশ দিয়াছিলেন । ঐ উপদেশ রামমোহন রায়ের বড় डाल व्लाधिाछिल । উপদেশ শেষ হইয়া গেলে উপাসকমণ্ডলীর সভ্যগণ তথা হইতে চলিয়া গেলেন না। রামমোহনকে ভাল করিয়া দেখিবার জন্য সকলে র্তাহার সমীপবৰ্ত্তী হইলেন । টেট নামক কোন ইংরেজের সহিত রাজার ভারতবর্ষে বন্ধুতা ছিল । তখন তিনি লোকান্তরিত হইয়াছিলেন । রাজা উপাসনালয়ের বাহিরে যাইবার সময় সেই টেট সাহেবের একটি প্ৰস্তরখোদিত স্মরণচিহ্ন দেখিয়া তাহার জন্য হঠাৎ শোকার্ত হইলেন । শীঘ্ৰ তিনি শোকাবেগ সম্বরণ করিয়া উপস্থিত ভদ্রলোকগণের সহিত কথা কহিতে আরম্ভ করিলেন। একজন ভারতবর্ষীয় ইংরেজী ভাষায় তাহাদের সহিত যেরূপ কথা কহিলেন তাহা শুনিয়া তাহারা অতিশয় আশ্চৰ্য্য হইলেন। উপাসনাদি কাৰ্য্য শেষ হওয়ার একঘণ্টা পরে তাহারা রামমোহন রায়কে ছাড়িয়া চলিয়া গেলেন । পরস্পব বিদায়ের পূর্বে রামমোহন রায় তাহদের মধ্যে অনেকোব সহিত হস্ত মর্দন করিয়াছিলেন । সায়াহ্নে রামমোহন রায় ইংলণ্ডীয় ত্ৰিত্ববাদীদিগের এক উপাসনালয়ে গমন করিয়াছিলেন । রেভারেণ্ড স্কোরসবি নামে এক ব্যক্তি উক্ত সমাজের আচাৰ্য্য ছিলেন । তিনি প্ৰথমে আতি সামান্য অবস্থার লোক ছিলেন ; জাহাজের খালাসির কার্য্য করিতেন। পরে, বিদ্যানুরাগের জন্য এক জন সুপ্ৰসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক ও ধৰ্ম্মযাজক হইয়াছিলেন। তঁহার উপদেশ শুনিয়াও, রামমোহন রায় প্ৰশংসা করিয়াছিলেন ।