পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৫০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত বড়লোকদিগের সহিত সাক্ষাৎ ও যশোবিস্তার রামমোহন রায় কয়েক মাসের জন্য ১২৫ নং রিজেণ্ট ষ্ট্রীটে বাস করিয়াছিলেন। তঁহার লণ্ডনে আগমনেব সংবাদ পাইয়া অনেক সন্ত্রান্ত ও সুবিখ্যাত ব্যক্তি সাক্ষাৎ করিতে আসিতে লাগিলেন। বিজেণ্ট ষ্ট্রীটে। তাহার বাসা হইবামাত্রই বেলা একাদশ ঘটিকা হইতে অপবাহু চাবিটা পৰ্য্যন্ত উৰ্তাহার দ্বাবে ক্ৰমাগত গাডি আসিতে লাগিল । তাহাব উদাবপ্ৰকৃতি ও মধুর-ব্যবহারে সকলে মুগ্ধ হইতে লাগিলেন। একজন অসাধাবণ জ্ঞানী ব্যক্তি বলিয়া তাহাব যশঃ চতুর্দিকে বিস্তৃত হইয়া পড়িতে লাগিল। কিন্তু তাহাব পরিশ্রম ও উৎসাহ এত অধিক হইতে লাগিল যে, তিনি তজ্জন্য পীডিত হইয, পন্ডিলেন। তঁাহাব চিকিৎসকগণ তাহার ভূত্যকে অনুমতি করিলেন যে, কোন ব্যক্তিকে তঁাহাব সহিত সাক্ষাৎ করিতে না দেয় । ইংলণ্ডাধিপতির সহিত সাক্ষাৎ ও রাজসম্মান লাভ ইংলণ্ডীয় গবৰ্ণমেণ্ট দিল্লীশ্ববের প্রদত্ত বামমোহন বায়েব ‘বাজা” উপাধি স্বীকাব কবিয়াছিলেন । ইংলণ্ডাধিপতিব বাজ্যিাভিষেককালে বিদেশীয় দূতগণেব সঙ্গে তাহাব আসন নিদিষ্ট হইয়াছিল। লণ্ডনেব সেতু নিৰ্ম্মিত হইয়া সাধাবণেব ব্যবহাবি জন্য উন্মুক্ত হইবাব সময়ে যে প্ৰকাশ্য ভোজ হইয়াছিল, ইংলণ্ডেশ্বব তাহাতে বামমোহন বায়কে নিমন্ত্রণ কবিয়াছিলেন। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি তঁহার উপাধি কখন স্বীকার করেন নাই বটে, কিন্তু তঁাহাব প্ৰতি অত্যন্ত সম্মান প্রদর্শন করিয়াছিলেন। বোর্ড অব কণ্টোলের সভাপতি সাব জে, সি, হবহাউস ইংলেণ্ডেশ্বরের নিকট তঁহাকে উপস্থিত কবিয়াছিলেন ।