পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৫২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত রামমোহন রায় বলেন,-“তিনি ভারতবর্ষবাসিগণকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য র্তাহার যতদূর সাধ্য চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি ভারতবর্ষে যাহা করিয়াছেন, তজজন্য তিনি কৃতজ্ঞ এবং তিনি আশা করেন যে, ভবিষ্যতেও এইরূপ সহৃদয়তার সহিত সে দেশের রাজকাৰ্য্য পরিচালিত হইবে, ও সে দেশের রাজশাসন সর্বজনপ্ৰীতিপ্ৰদ হইবে। এই ভোজের বিবরণ-লেখক বলিয়াছেন -ইহা দেখিতে বিশেষ কৌতুকাবহ হইয়াছিল যে, যখন অন্যান্য নিমন্ত্রিতগণ কুৰ্ম্ম ও মৃগমাংস আহারে ও সাম্পেন পানে অনুরাগেৰ সহিত নিযুক্ত ছিলেন, তখন এই ব্ৰাহ্মণ কেবল মাত্ৰ ভাত ও শীতল জল সেবন করিতেছিলেন । ১৮৩৩ সালের নবেম্বর মাসেব এসিয়াটিক জবুন্তাল পত্র বলেন যে, ইংলণ্ডাধিপতির মন্ত্রিগণ রামমোহন রায়ের বাজা উপাধি এবং তঁহাকে দিল্লীব বাদসার প্রেরিত দূত বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন। কিন্তু ইহা অপেক্ষাও আর একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় কথা আছে। তাহা এই যে, ইংলণ্ডবাসিগণ র্তাহাকে ভারতবর্ষবাসিগণের প্রতিনিধি বলিয়া সহজেই গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। এই শেষোক্ত কথাটি প্রধান প্ৰধান রাজকৰ্ম্মচারীদিগের ভাল না লাগিলেও, ইহা অস্বীকার কবা সম্ভব নহে। এ কথা যথাৰ্থ বটে যে, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি তঁাহাব ‘বাজা” উপাধি এবং তাঁহাকে দিল্লীর বাদসার দূত বলিয়া কখনই স্বীকাব করেন নাই । তথ্যাচ, সদব্যল্যাণ্ড সাহেব বলেন যে, ইংলণ্ডের লোক তাহার প্রতি যেরূপ সম্মান ও সমাদর প্রদর্শন কবেন, তাহাতে কলিকাতা অপেক্ষা ইংলণ্ডে তাহার প্রতি এ্যাংলো ইণ্ডিয়ানদের ব্যবহার সম্বন্ধে বিশেষ পরিবর্তন লক্ষিত হইয়াছিল। যে সকল লোক ভারতবর্ষে তাহার প্রতি ঘূণার সহিত ব্যবহার করিয়াছিল, তাহারাই, তিনি ইংলণ্ডে আসিলে, তাহার সম্মান দেখিয়া তাঁহার সহিত পরিচিত হইবােব জন্য ব্যাকুলভাবে