পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৫৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত বিদেশীয় বলিয়া যে সকল কষ্ট ও অসুবিধা হইবার সম্ভাবনা, সেই সকল বিষয়ে যেন তাহারা তাহাকে বিশেষভাবে সাহায্য করেন । কিন্তু রামমোহন রায় অত্যন্ত স্বাধীনতাপ্রিয় ও আত্মনির্ভরশীল ছিলেন । যতদূর সম্ভব তিনি অন্যের সাহায্য গ্ৰহণ না করিতে চেষ্টা করিতেন। সুতরাং হেয়ার সাহেবের ভ্রাতারা আন্তরিক ইচ্ছাসত্ত্বেও কয়েক মাস পৰ্য্যন্ত কোন সাহায্য দান করিতে পারেন নাই। পরিশেষে তাহারা কৃতকাৰ্য্য হইলেন। অনেক চেষ্টা করাতে রামমোহন রায় তঁহাদের বাটীতে থাকিতে সম্মত হইলেন। রামমোহন রায় যখন ফরাসীদেশে গিয়াছিলেন, তখন হেয়ার সাহেবের একজন ভ্ৰাতা তাহার অনুচর হইয়া তথায় গমন করেন । র্তাহার সম্মানার্থ প্ৰকাশ্যসভা ইউনিটেরিয়ান, খ্ৰীষ্টিয়ানগণ লণ্ডননগরে এক প্ৰকাশ্য সভায় রামমোহন রায়ের অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন । উহা সম্ভবতঃ ৩১ সালের মে মাসে সংঘটিত হইয়াছিল। মন্থলি রিপজিটরী নামক পত্রিকায়, ১৮৩১ খ্ৰীষ্টাব্দের জুন মাসে, উক্ত সভার একটি বিশেষ বিবরণ প্ৰকাশিত হইয়াছিল। রামমোহন রায় উক্ত সভায় অত্যন্ত উৎসাহের সহিত গৃহীত হইলে পর, সভাপতি মহাশয় বলিলেন যে, রাজা রামমোহন রায়কে দেখিয়া তাহদের মধ্যে এরূপ ভাবের উচ্ছাস হইয়াছে যে, উহা তিনি ( রামমোহন রায় ) সহজে বুঝিতে পারিবেন না। সুপ্ৰসিদ্ধ ওয়েষ্ট মিনিষ্টার রিভিউ পত্রের সম্পাদক,খ্যাতনামা সবুজন বাউরিং উক্ত সভায় বক্তৃতা করিয়াছিলেন। তাহার বক্তৃতার একস্থলে তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহার সারমর্ম এই ;-“যদি প্লেটো বা সক্রেটিস, মিলটন বা নিউটন হঠাৎ আসিয়া উপস্থিত হন, তাহা হইলে যেরূপ মনের ভাব হওয়া সম্ভব,