পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৫৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তাহা যদি বলিতে থাকি, তাহা হইলে সময়ে কুলাইবে না। এই মুহুৰ্ত্তে যে ভারতবর্ষে জীবন্ত বিধবাদিগকে গ্ৰহণ করিবার জন্য চিন্তানল প্ৰজলিত হইতেছে না, তাহা কেবল তাঁহারই হস্তক্ষেপ, উপদেশ ও যুক্তি-তর্কের জন্য । যিনি এমন উপকার করিয়াছেন, তাহাকে কি আমরা আমাদের ভাই মনে না করিয়া থাকিতে পারি ? তিনি যখন এখানে আসিয়াছেন, তখন কি আমরা উৎসাহধ্বনিতে তাহাকে না বলিয়া থাকিতে পারি যে, আমরা কেমন মনোযোগের সহিত তাহার কাৰ্য্যের উন্নতি দেখিতাম ? তাহার কাৰ্য্যের জন্য আমরা জয়ধ্বনি প্ৰদান না করিলেও, অন্ততঃ আমাদের কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ না করিয়া কি আমরা থাকিতে পাবি ? এক দিন যে আমরা তাহাকে এই ইংলণ্ডভূমিতে অভ্যর্থনা করিতে পারিব, ইহা আমাদের নিকটে একটি সুখময় স্বপ্ন স্বরূপ ছিল। উহা একটি আশা হইলেও অতি ক্ষীণ আশা ছিল । উহা যে কখন বাস্তব ঘটনায় পরিণত হইবে তাহা বিশ্বাস করিতে আমরা সাহস করি নাই।” তৎপরে বাউরিং সাহেব বলিলেন ;-“রামমোহন রায় আমাদের মধ্যে উপস্থিত হইয়াছিলেন, এই স্মৃতি আমাদের পক্ষে এতদূর আনন্দজনরু হইবে, যে আদ্যকার দিন আমাদের ইতিহাসের একটি যুগসৃষ্টি করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে । অদ্য এই ব্ৰাহ্মণ আমাদের মধ্যে দণ্ডায়মান হইয়া আমাদের অভ্যর্থনা গ্ৰহণ করিলেন, এবং তাহার অতীত ও ভাবী কাৰ্য্যের প্রতি আমরা যে সহানুভূতি প্ৰকাশ করিলাম, ইহা কখন কেহ ভুলিতে পরিবে না। তিনি যে সকল মহৎ কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়াছেন, আমরা যদি কোন প্রকারে তঁহার সাহায্য করিতে পারি, তাহা হইলে আমাদের অতিশয় আনন্দ হইবে।” বাউরিং সাহেবের বক্তৃতা শেষ হইলে আমেরিকার যুক্তরাজ্যের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) সভাপতি ডাক্তার