পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

之8 মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত হিন্দুব্যবস্থশাস্ত্রানুসারে পিতৃঋণের জন্য দায়ী নহেন ! কোন কোন ব্যক্তির এ প্রকার সংস্কার আছে যে, পিতৃঋণের জন্য দায়ী হইতে হইবে বলিয়া, অথবা অন্য কোন কারণে, তিনি পিতৃসম্পত্তি আদবেই গ্ৰহণ করেন। নাই। একথা সত্য নহে। তঁহার বন্ধু আড্যাম সাহেব, র্তাহার মৃত্যুর কিছুকাল পরে, তাহার বিষয়ে বিলাতে যে বক্তৃতা করেন, তাহাতে তিনি স্পষ্ট বলিয়াছিলেন যে, রামমোহন রায় প্ৰকাশ্যরূপে পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হওয়াতে, তাহার জননী তাহাকে বিধৰ্ম্মী বলিয়া তৎকালীন আইনানুসারে, তঁহাকে সম্পত্তিচু্যত করিবার জন্য সুপ্রিমকোটে মোকদ্দমা উপস্থিত করেন । রামমোহন রায় এই মোকদ্দমায় জয়লাভ করিয়াছিলেন । তিনি আপনাকে বিধৰ্ম্মী বলিয়া কখনই স্বীকার করেন নাই । তাহার প্রতিপক্ষগণও তাহাকে বিধৰ্ম্মী বলিয়া আদালতে প্ৰমাণ করিতে পারেন নাই। পাঠকবর্গের স্মরণ আছে যে, উপক্ৰমণিকায় তাহার যে পত্ৰখানি অনুবাদিত হইয়া প্ৰকাশিত হইয়াছে, তাহাতে তিনি বলিতেছেন ;- “আমার সমস্ত তর্ক-বিতর্কে আমি কখন হিন্দুধৰ্ম্মকে আক্ৰমণ করি নাই। - উক্ত নামে যে বিকৃত ধৰ্ম্ম এক্ষণে প্ৰচলিত, তাহাই আমার আক্রমণের বিষয় ছিল ।” ইত্যাদি । রাজা রামমোহন রায়ের পৈতৃক বিষয়াধিকার সম্বন্ধে তাহার প্রদৌহিত্ৰ আৰ্য্যদর্শন পত্রে লিখিয়াছেন ;-“প্রচলিত আইনানুসারে যদিও তিনি পিতৃধনের সম্পূর্ণ অধিকারী, তথাপি পার্থিব সুখে বীতরাগ বিনয়ী রামমোহন, আত্মীয় স্বজনের মনে কষ্ট দিয়া স্বহস্তে সমস্ত গ্ৰহণ করিতে বিরত হন। যাহা হউক, সকলই পূর্বের ন্যায় এখনও তাহার মাতার অধীনে রহিল। তিনি জমিদারী কাৰ্য্য প্রভৃতি স্বহস্তে গ্ৰহণ ক্ষরিয়া অতি সুচারুরূপে কাৰ্য্যসম্পাদনা করিতে লাগিলেন । এদেশীয় জমিদাৰ্শী কাৰ্য্যনিচয় যেরূপ জটিল ও তাহাতে যেরূপ সূক্ষ্ম বুদ্ধির প্রয়োজন, তাতাতে