পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৭০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত বড় লোকের ন্যায় জাকজমকে থাকা আবশ্যক। ঐ প্রকারে থাকিলে, যে কাৰ্য্যের জন্য তিনি তথায় আসিয়াছেন, তাহা সফল হওয়ার পক্ষে সুবিধা হইবে। রিজেণ্ট পার্কে, কম্বারল্যাণ্ড টেরাম নামক প্ৰাসাদতুল্য সুন্দব বড বাটীতে বড় লোকের ন্যায় জাকজমকে বাস করিতে লাগিলেন। যে সকল লোকের পরামর্শে রাজা এই ভুল করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে র্তাহার সেক্রেটরি স্যাণ্ডফোর্ড আরনটু একজন । রাজা শীঘ্রই আপনার ভ্ৰম বুঝিতে পারিলেন। বুঝিলেন যে, ঐ ভাবে ইংলণ্ডে বাস করাব কোন প্রয়োজন নাই। তিনি তখন ঐ প্রাসাদতুল্য বাটী ত্যাগ করিয়া, বেডফোর্ড স্কোয়ারে কলিকাতার হেয়ার সাহেবের সহোদরগাগের বাটীতে গিয়া তাহদের সহিত বাস করিতে লাগিলেন। যত দিন লণ্ডনে ছিলেন, ঐ স্থানেই থাকিতেন। একখানি ঘোড়ার গাড়ী রাখিয়াছিলেন। একজন কোচম্যান ও একজন সহিস রাখিয়াছিলেন । তাহাদিগকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোষাক দিয়াছিলেন । মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের ন্যায় থাকিলেও, দেশের প্রথম শ্রেণীর সম্রান্ত ব্যক্তিগণ তাহার সংসর্গপ্রার্থী হইতেন । রাজা রামমোহন রায় ইংলণ্ডে অবস্থিতি কালে তত্ৰত্য পরিচিত ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলাগণকে কোন কোন ভাল পুস্তক উপহার প্রদান করিতেন। একবার একখানি হিন্দুশাস্ত্রের ইংরেজী অনুবাদ একটি স্ত্রীলোককে উপহার পাঠাইয়া দিয়াছিলেন । উহাতে বেদ বা উপনিষদের কিয়দংশের অনুবাদ ছিল । এক খানি পত্রে তদ্বিষয়ে তিনি এইরূপ বলিতেছেন ;-“ইয়োরোপ মহাদেশ দেখিতে যাইবার পূর্বে, আমি শ্ৰীমতী ডাবলিউকে যে বেদের অনুবাদ উপহার দিয়া গিয়াছিলাম তাহা র্তাহার ভাল লাগিয়াছে শুনিয়া আমার আনন্দ হইয়াছে। এক্ষণে আমাক এই মত দৃঢ় হইল যে, তাহার যেরূপ বিবেচনাশক্তি এবং তিনি যেরূপ