পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহপ্ৰত্যাবৰ্ত্তন, শাস্ত্রচর্চা, পুনর্বর্জন ও বিষয়কৰ্ম্ম ২৫ স্ত্রীলোকের কথা দূরে থাকুক, অনেক সময় কত পুরুষকে ব্যতিব্যস্ত হইতে হয়। এরূপ অবস্থায় একটি বঙ্গীয়া স্ত্রীলোকের পক্ষে বিধিমত কাৰ্য্যসম্পাদন কতদূর কঠিন বিষয়, তাহ বলা যায় না। কথিত আছে, ফুলঠাকুরাণী, গৃহদেবদেবী রাধাগোবিন্দ ও অসংখ্য শালগ্ৰাম সম্মুখে বাখিয়া জমিদারী কাৰ্য্য সকল পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেন।” পিতার মৃত্যুর পর, তিনি পুনৰ্বার গৃহে আসিয়া বাস করিলেন। তাহার জ্ঞানানুরাগ তখনও সমভাবে প্ৰবল ছিল । শাস্ত্ৰাধ্যয়নে তাহার আচৰ্য্য আসক্তি দেখিয়া পরিবারস্থ ও অন্যান্য আত্মীয়বর্গ অবাক হইয়াছিলেন । পাঠাসক্তি বিষয়ে গল্প তাহার পাঠাসক্তি সম্বন্ধে রায়বংশীয়দিগের মধ্যে একটি গল্প প্ৰচলিত আছে। একদিন তিনি প্ৰাতঃস্নান পূর্বক একটি নির্জনগৃহে বসিয়া সংস্কৃত বাল্মীকি রামায়ণ অধ্যয়ন করিতে লাগিলেন। পূর্বে কখন তিনি উক্ত গ্ৰন্থ পাঠ করেন নাই ; সুতরাং বিশেষ আগ্ৰহাতিশয়সহকারে • পাঠারম্ভ করিলেন। ক্ৰমে অধিক বেলা হইল, দুই প্রহর অতীত হইয়া গেল, অথচ তাহার পাঠ সমাপ্ত হইল না । পরিবারবর্গকে তিনি বিশেষ করিয়া নিষেধ করিয়া দিয়াছিলেন যে, কেহ যেন কখন তাহার পাঠেব ব্যাঘাত উপস্থিত না করে । আহারের সময় উত্তীর্ণ হইয়া যায়, অথচ কাহারও সাহসী হইল না যে, গম্ভীর প্রকৃতি রামমোহনের তপোবিস্ত্র উৎপাদন করেন । ক্ৰমে ক্রমে সকলেই আহার করিলেন, রামমোহন নমগ্ন । বেলা তৃতীয় প্রহর অতিক্রান্ত হইল । পুত্ৰ অনাহারী জননী ফুলঠাকুরাণী কেমন করিয়া আহার করেন ! তখন মোহন রায়ের বিশেষ শ্রদ্ধাভাজন রাধানগরীনিবাসী একব্যক্তি সাহস