পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫০০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত অনাচার ও অধৰ্ম্ম হয়, তাহা হইলে যে নল একবার উচ্ছিষ্ট করিয়াছেন। কি বলিয়া তাহ পুনর্বার ব্যবহার করিতেছেন ?” ভটাচাৰ্য্য মহাশয় রামমোহন রায়ের কৌশলে ধরা পড়িয়া লজ্জিত ও নিরুত্তর হইলেন । মেধাশক্তি বিষয়ে একটি গল্প। আমরা এস্থলে তাহার আশ্চৰ্য্য মেধাশক্তি সম্বন্ধে একটি গল্প বলিতেছি । একদা এক পণ্ডিত আসিয়া কোন একখানি তন্ত্রশাস্ত্ৰ বিষয়ে তাহার সহিত বিচার করিতে ইচ্ছা প্ৰকাশ করিলেন । রামমোহন রায় দেখিলেন যে, তিনি কখনও উক্ত গ্ৰন্থ পাঠ করেন নাই। পণ্ডিতকে বলিলেন যে, আপনি আগামী কল্য ঠিক এই সময় আসিবেন, বিচার হইবে । পণ্ডিত চলিয়া গেলেন । রানমোহন রায়ের নিকট উক্ত গ্ৰন্থ ছিল না। সুতরাং তৎক্ষণাৎ শোভাবাজারের রাজবাটী হইতে পুস্তক লইয়া আসিলেন, এবং মনোযোগপূর্বক অধ্যয়ন করিলেন। একবার অধ্যয়নমাত্র তাহার অসাধারণ মেধা উহা আয়ত্তাধীন করিয়া লইল । তৎপরদিবােল ঠিক সময়ে বিচারার্থী ব্ৰাহ্মণ আসিয়া উপস্থিত। ঘোরতর বিচার হইল । পরিশেষে তিনি রামমোহন রায়ের পাণ্ডিত্য ও তর্কশক্তির নিকট পরাস্ত হইয়া গৃহপ্ৰস্থান কবিলেন। তর্কপ্ৰণালী বিষয়ে একটা গল্প । তঁহার তর্কের প্রণালী অতি সুন্দর ছিল। অতি সহজে বিপক্ষকে তাহার। আপনার কথাতেই তাহাকে ঠকাইতেন । রামমোহন রায়ের বাটীর প্রাঙ্গণে এক উদ্যান ছিল। এক ব্ৰাহ্মণ প্ৰত্যহ পূজার জন্য পুষ্পচয়ন করিয়া লইয়া যাইতেন। এক দিবস