পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sqb ́ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত দিয়া শিক্ষা কবেন নাই। সংস্কৃত, আরবি ও পারসি ভাষায় লিখিত শাস্ত্ৰ সকল অধ্যয়নেই তিনি বিশেষ অভিনিবিষ্টচিত্ত ছিলেন। সুতরাং সাতাশ আটাশ বৎসর বয়সেও, তিনি সামান্য সামান্য বিষয়ে কোন প্রকারে ইংবেজী ভাষায় মনের ভাব প্ৰকাশ করিতে পারিতেন মাত্ৰ । ইংরেজী রচনা প্ৰায় কিছুই পারিতেন না। এই সময়ে, অর্থাৎ খ্ৰীষ্টাব্দ ১৮০৩ কিম্বা ১৮০৪ সালে, বামমোহন রায় মুবশিদাবাদে বাস করেন। তথায় তাহফাত-উল-মুওয়াহিদীন নামক এক খানি পুস্তক প্ৰকাশ করেন। পুস্তকেব নামের অর্থ, একেশ্বববাদীদিগকে প্রদত্ত উপহার। ( পবিশিষ্ট দেখা । ) গবর্ণমেণ্টের অধীনে কৰ্ম্মগ্রহণ ও আত্মসম্মান রক্ষা এই সময়ে তিনি গবৰ্ণমেণ্টের অধীনে কৰ্ম্ম গ্ৰহণ কবেন । মুসলমান রাজশাসনের যতই কেন দোষ থাকুক না, উহার একটি বিশেষ গুণ এই ছিল যে, রাজ্যেব সর্বোচ্চপদ লাভেও হিন্দু, মুসলমান উভয় জাতির সমান অধিকার ছিল । কেবল প্ৰধানমন্ত্রীত্ব নহে, প্ৰধান সেনাপতির পদ পৰ্য্যন্ত হিন্দুরা লাভ কবিতে পারিতেন । কঠোরহাদয অত্যাচারী বাদদাহ আরঙ্গ জীবের প্রধান সেনাপতি যশোবন্ত সিং, একজন হিন্দু। সুসভ্য ইংরেজ জাতির অধীনে আমাদের সে সৌভাগ্য অস্তমিত হইয়াছে। সিবিল সবুভিসের দ্বার আমাদের নিকট উন্মুক্ত বটে, কিন্তু তাহাতেও কত বাধা ও অসুবিধা । তথাচ, বৰ্ত্তমান সময়ে যাহাই কেন হউক না, রামমোহন রায়ের সময়ে এতদপেক্ষা শতগুণে শোচনীয় অবস্থা ছিল। সে সময়ে জজের ও কালেক্টরেব সেরেস্তাদারি, ( তখন দেওয়ানি বলিত ) দেশীয়দিগের পক্ষে উচ্চতম পদ বলিয়া নির্দিষ্ট ছিল । সুতরাং রামমোহন রায়ের ভাগ্যে ও তদপেক্ষ। উচ্চতর পদ জুটে নাই। কিন্তু তাহাও তিনি