পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত রামমোহন রায় চিরদিনই বহুবিবাহের অতিশয় বিরোধী ছিলেন । র্তাহার একজন শিষ্য নন্দকিশোর বসু মহাশয়ের বিবাহের সম্বন্ধের সময়, তাহার শ্বশুর তাঁহাকে ভুলাইবার জন্য প্রতারণা করিয়া একটি সুন্দরী বালিকাকে দেখাইয়াছিলেন। নন্দকিশোর সুন্দরী বালিকাকে দেখিয়া বিবাহে মত দিয়াছিলেন। কিন্তু বিবাহের সময় একটি কৃষ্ণবৰ্ণা বালিকাকে আনিয়া বিবাহ দেওয়া হইল । নন্দকিশোর, সেই জন্য, শ্বশুরের প্রতিহিংসা করিবার অভিপ্ৰায়ে, নিজে মনোনীত করিয়া আর একটি বিবাহ করিবেন, মনে করিলেন । রামমোহন রায় তাহাকে এরূপ কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্তি হইতে চেষ্টা করিয়াছিলেন । এরূপ বিবাহ করিতে নিষেধ করি যাছিলেন । তিনি তাহাকে বলিয়াছিলেন ;-যে বৃক্ষ উত্তম ফল প্ৰসব করে, তাহাই সুন্দর বৃক্ষ । সেইরূপ তোমার স্ত্রী সুন্দৰী না হইলে ও যদি তিনি সৎপুত্র প্রসব করেন, তাহা হইলেই তাহাকে অবশ্য সুন্দরী বলিতে হইবে । বিধাতার ইচ্ছ। এমনই সংঘটিত হইয়াছে যে, নন্দকিশোর বসুর সেই স্ত্রীর গর্ভে সুপ্ৰসিদ্ধ বাজনারায়ণ বসু মহাশয় জন্মগ্রহণ করিয়াছেন । রামমোহন রায়ের প্রতিষ্ঠিত ব্ৰাহ্মসমাজের উন্নতি সাধনে এবং তাহার। প্ৰবৰ্ত্তিত সমাজসংস্কার কাৰ্য্যে রাজনারায়ণ বাবু যেরূপ জীবন সমৰ্পণ করিয়াছিলেন, এরূপ আর কয়জন করিয়াছেন ? গরিব দুঃখীর প্রতি রামমোহন রায়েব যার-পর-নাই সহানুভুতি ও দয়া ছিল। দুঃখীর দুঃখে তাহার হৃদয় সর্বদা ক্ৰন্দন করিত। দুঃখী লোকের প্রতি কেহ অত্যাচার করিলে তিনি কখনই তাহ সহ্য করিতে পারিতেন না । শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত বাবু অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয়ের নিকট আমরা শুনিয়াছি যে, তাহার নিবাসগ্রামে তাহার একটি বাজার ছিল । যে সকল ব্যাপারীরা বাজারে দ্রব্যাদি বিক্রয় করিতে আসিত, তাহার