পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের সর্বাঙ্গীন মহত্ত্ব GSS জ্যেষ্ঠপুত্র রাধাপ্ৰসাদ তাহাদিগের নিকট হইতে তোলা গ্ৰহণ করিতে আরম্ভ করিলেন । এরূপ তোলা গ্ৰহণ করিবার নিয়ম সর্বত্রই আছে এবং উহা ন্যায়বিরুদ্ধ নহে। তথাচ ইহাতে ব্যাপারীরা বড়ই কষ্টবোধ করিতে লাগিল ৷ এক সময় রামমোহন রায় তথায় গমন করিলে, তাহারা সকলে মিলিয়া তাহার নিকট আসিয়া এ বিষয়ে অভিযোগ উপস্থিত করিল। তিনি তৎক্ষণাৎ পুত্রকে আহবান করিলেন, এবং তাহার মুখে ঘটনাটির বিষয় শ্রবণ করিয়া কপালে করাঘাতপূর্বক বলিলেন “হ পরমেশ্বর ! এই সকল দুঃখীলোক সামান্য দ্রব্যাদি বিক্রয় করিয়া উদরান্নের সংস্থাপন করে, ইহাদের উপরেও অত্যাচার !” রাধাপ্ৰসাদ অত্যন্ত লজিত হইয়া তথা হইতে প্ৰস্থান করিলেন । সেই দিন অবধি তোলা গ্ৰহণ করা বন্ধ হইল । দুঃখীলোকদিগের প্রতি র্তাহার সহানুভূতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাৰ্য্যে প্ৰকাশ পাইত। একদিবস তিনি চোগা চাপিকান প্ৰভৃতি পোষাক পরিধান করিয়া বহুবাজারে পদব্ৰজে ভ্ৰমণ করিতেছিলেন ; এমন সময়ে দেখিলেন যে, একজন তরকারী ওয়ালা তাহার বোঝা নামাইয়া আর উহা তুলিতে পারিতেছে না। তিনি তৎক্ষণাৎ গিয়া মোটুটি তাহার মস্তকে তুলিয়া দিলেন। হরিনাভি নিবাসী পরলোকগত আনন্দ্ৰচন্দ্ৰ শিরোমণি মহাশয় গল্প করিয়াছিলেন যে, তিনি একদিবস দেখিলেন যে রাজা রামমোহন রায় একজন মুটিয়ার সহিত কথাবাৰ্ত্তা বলিতেছেন। রাজা রামমোহন রায়ের তুল্য একজন সন্ত্রান্ত ব্যক্তিকে মুটিয়ার সহিত বসিয়া কথা কহিতে দেখিয়া শিরোমণি মহাশয় আশ্চৰ্য্য হইলেন, এবং তৎক্ষণাৎ নিকটে গিয়া শুনিলেন, রাজা মুটিয়াকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন যে, কলিকাতা নগরে সর্বশুদ্ধ কত মটিয়া আছে । তিনি মুটিয়াদিগের অবস্থা