পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত প্রভৃতি বিষয় সকল তাহার নিকট অনুসন্ধান দ্বারা জ্ঞাত হইতে, ছিলেন । একজন দরিদ্র ভদ্রলোক তাহার নিকট আসিয়া ধৰ্ম্মোপদেশ ९७नि८उन्म । উপযুক্ত বস্ত্রাভাবে তিনি কয়েক দিবস তাহার নিকটে আসিতে পারেন নাই শুনিয়া রাজা তঁহাকে বলিয়াছিলেন “আপনি জানিবেন যে, আমি কখন পোষাক দেখিয়া মানুষ চিনি না।” কোন প্ৰকার নির্দয় কাৰ্য্য দেখিলে তিনি যার পর নাই বিরক্ত হইয়া উঠিতেন। রামসুন্দর নামে তাহার এক পাচক ব্ৰাহ্মণ ছিল, সে এক দিবস মাংস রন্ধন করিবে বলিয়া বঁটা দিয়া একটি ছাগল কাটিতেছিল । রামমোহন রায় ছাগের চীৎকার শুনিয়া তাহার কারণ অনুসন্ধান করিলেন এবং এই নির্দয় কাৰ্য্যের বিষয় অবগত হইয়া অত্যন্ত ক্রোধের সাহিত যষ্টিহস্তে রন্ধনশালার দিকে চলিলেন । বামসুন্দবি দেখিয়া ভয়ে পলায়ন করিল। রামমোহন রায় তাহার। পাচ টাকা অর্থদণ্ড করিলেন ; এবং বলিলেন যে, “আমি মাংস ভোজন করি বলিয়া এ প্রকারে জীবহিংসা করা অতি মূঢ়ের কৰ্ম্ম।” আজ কাল দেখিতে পাই যে, এক কাঠা জমির অধিকারীও আপনাকে জমিদার বলিয়া অহঙ্কার করেন এবং দুঃখী প্ৰজার বিরুদ্ধে জমিদারের পক্ষ সমর্থন করিতে উৎসাহী হন। রাজা রামমোহন রায়ের চরিত্রে ইহার বিপরীত দৃষ্টান্ত দেখিতে পাইবে । তিনি জমিদারের পুত্র ; নিজে জমিদার ; তাহার সাহায্যকারী বন্ধুগণ অনেকেই প্ৰধান প্ৰধান জমিদার,-বাবু দ্বারকানাথ ঠাকুর, টাকার কালীনাথ রায়, তেলিনীপাড়ার অন্নদাপ্ৰসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি সকলেই বড় বড় জমিদার ,-অথচ রামমোহন রায়, কি ভারতবর্ষে, কি ইংলেণ্ডে, চিরদিন দুঃখী প্ৰজাগণের পক্ষপাতী। পাঠকবর্গ অবগত হইয়াছেন যে, পালেমেণ্টের কমিটির