পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত করিয়াছিল, ইহা সামান্য আশ্চৰ্য্য ও সামান্য সাধুবাদেব বিষয় নয়। তখন তোমার জ্ঞান ও ধৰ্ম্মোৎসাহে উৎসাহিত হৃদয় জঙ্গলময়-পঙ্কিল-ভূমি পবিবেষ্টিত একটী অগ্নিময় আগ্নেয়গিরি ছিল ; তাহা হইতে পুণ্য-পবিত্ৰ প্রচুর জ্ঞানাগ্নি সতেজে উৎক্ষিপ্ত হইয়া চতুর্দিকে বিক্ষিপ্ত হইতে থাকিত। তুমি বিজ্ঞানের অনুকুল পক্ষে যে সুগভীব বণবাদ্য বাদন করিয়া গিয়াছ, তাহাতে যেন এখনও আমাদের কর্ণ-কুহীর ধ্বনিত কবিতেছে। সেই অত্যুন্নত গম্ভীর তুৰ্য্যধ্বনি অদ্যাপি বার বাব প্ৰতিধ্বনিত হইয়া এই অযোগ্য দেশেও জয়-সাধন করিয়া আসিতেছে। তুমি স্বদেশ ও বিদেশব্যাপী ভ্রম ও কুসংস্কার সংহাব উদ্দেশে আততায়ি-স্বরূপে রণ-দুৰ্ম্মদ বীবপুরুষের পবাক্ৰম প্ৰকাশ করিয়াছ, এবং বিচাবি-যুদ্ধে সকল বিপক্ষ পরাস্ত করিয়া নি:সংশয়ে সম্যকরূপে জয়ী হইয়াছ । তোমার উপাধি বাজা। জড়ময় ভূমিখণ্ড তোমাব রাজ্য নয়। তুমি একটা সুবিস্তাব মনোরাজ্য অধিকার করিয়াছ । তোমার সমকালীন ও বিশেষতঃ উত্তব কালীন সুমাজ্জিতবুদ্ধি শিক্ষিত সম্প্রদায় তোমাকে রাজমুকুট প্ৰদান করিয়া তোমার জয়ধ্বনি করিয়া আসিতেছে। র্যাহারা আবহমানকাল হিন্দুজাতির মনোরাজ্যে নির্বিবাদে রাজত্ব করিয়া আসিয়াছেন, তুমি তাহদিগকে পরাজয় করিয়াছ। অতএব তুমি রাজার বাজা । তোমাব জয়পতাকা তাহাদেবই স্বাধিকাব মধ্যে সেই যে উত্তোলিত হইয়াছে, আর পতিত হইল না ; নিয়ত একভাবেই উডীয়মান বহিয়াছে। পূর্বে যে ভারতবর্ষীয়েরা তোমাকে পরম শত্রু বলিয়া জানিতেন, তদীয় সন্তানেরা অনেকেই এখন তোমাকে পরম বন্ধু বলিয়া বিশ্বাস কবিতেছেন, তাহাব সন্দেহ নাই । কেবল ভারতবর্ষীয়দের বন্ধু কেন, তুমি জগতের বন্ধু। এক দিকে জ্ঞান ও ধৰ্ম্মভূষণে ভূষিত করিয়া জন্ম-ভূমিকে উজ্জ্বল করি।-- বার যত্ন করিয়াছ, অপর দিকে সঙ্কটময় সুগভীর সমুদ্র সমূহ উত্তরণ পূর্বক