পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত @ Sዓ জ্ঞাতি ও বন্ধুগণের মধ্যে, স্বমত প্ৰকাশ ও বিচারের জন্য লিখিত । উক্ত পুস্তক সম্ভবতঃ বাঙ্গালা গদ্যে লিখিত হইয়াছিল, এবং মধ্যে মধ্যে, বোধ হয়, ংস্কৃত শ্লোকও ছিল । উহা যে সাধারণের মধ্যে প্রচারিত হয় নাই, তাহা রাজার বেদান্তসুত্রের ব্যাখ্যার অনুষ্ঠান পত্রে আভাস পাওয়া যায় । অনুষ্ঠানপত্রে বাঙ্গালা গদ্যপাঠের যেরূপ নিয়মাবলী দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে বুঝা যাইতেছে যে, রাজার বেদান্তভাষাই প্ৰথমে জনসাধারণের মধ্যে প্রচারিত হইয়াছিল। ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে উহা প্ৰথম প্ৰকাশিত হয়। রংপুরে থাকিতে রাজা শাস্ত্রীয় বিচার করিতেন। ব্ৰহ্মজ্ঞান সম্বন্ধে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুস্তকও লিখিতেন। সে সময়ে বাঙ্গালা গদ্যে পুস্তক রচনার প্ৰথা ছিল না। ;-লিখিলে লোকে বুঝিতেও পারিত না । সে সময়ে আদালতের দলিলাদি সচরাচর পারস্য ভাষায় লিখিত হইত। শিক্ষিত লোকেরা অনেকেই পারস্য ভাষাভিজ্ঞ ছিলেন। যদিও মুসলমানরাজশাসনকালের ন্যায়, পারস্য রাজভাষা ছিল না, তথাচ পারস্য ভাষার চর্চা অনেক পরিমাণে প্ৰবল ছিল । বিশেষতঃ আদালতে পারস্য ভাষার ব্যবহার ছিল । রংপুর তখন একটি মুসলমানপ্রধান স্থান। মুসলমানদের সহিত রাজার আত্মীয়তা ছিল । রাজা মুসলমান শাস্ত্ৰাদির চর্চা করি।- তেন। মৌলবীদের সহিত মুসলমানশাস্ত্ৰ বিষয়ে বিচার করিতেন। মৌলবীরা তঁহাকে “জবরদস্ত' মৌলবী বলিতেন । রংপুরে অবস্থিতিকালে তিনি যে পারস্য ভাষায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুস্তক লিখিয়াছিলেন, “জ্ঞানাঞ্জন”। নামক পুস্তকে তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি সেখানে, ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতদের সহিতও বিচার করিতেন । তঁহাদিগের সহিত শাস্ত্রীয় বিচারে প্ৰবৃত্ত হইয়া বেদান্তের কোন কোন অংশ অনুবাদ করিয়াছিলেন । ১৮৩৮ খ্ৰীষ্টাব্দে যে, “জ্ঞানাঞ্জন’ পুস্তক পুনমুদ্রিত হইয়াছিল, তদ্বারা জ্ঞাত হওয়া যাইতেছে যে, রাজা বাঙ্গালা গদ্যেই বেদান্তের কোন কোন