পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ও ইংরেজি ভাষায় তাহার ধৰ্ম্মগ্রন্থ সকল প্রচার করিতে লাগিলেন । তৃতীয়, কেরী, ওয়ার্ড প্রভৃতি খৃষ্টিয়ান মিসনরিগণ কিছু কাল পূর্ব হইতে বাঙ্গালা ভাষা অবলম্বন করিয়া খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচার করিতেছিলেন। তঁহাদের দৃষ্টান্ত রাজাব বাঙ্গালা ভাষা অবলম্বনের একটি কারণ হইতে পারে। পূর্বে তিনি বাঙ্গালা ভাষায় বেদান্তের কোন কোন অংশেব অনুবাদ করিয়াছিলেন ; কিন্তু পারস্য ভাষাই প্ৰধান অবলম্বন ছিল । এক্ষণে খ্ৰীষ্টিয়ান মিসন রিদিগের ন্যায় বাঙ্গালা ভাষাকেই প্ৰধান অবলম্বন কবিলেন । খ্ৰীষ্টিয়ান মিসন রিদিগেব নিকটে তিনি যে বাঙ্গালা গদ্য লিখিবার প্ৰণালী শিক্ষা কবিয়াছিলেন, এমন নহে। মিসন রিদিগের্ব অনেক পূর্বে ষোডশ বৎসর বয়সে, বোধ হয় ১৭৮৮ খ্ৰীষ্টাব্দে সম্ভবতঃ তিনি প্ৰথমে বাঙ্গালা গদ্য লিখিয়াছিলেন। রংপুরে কোন প্রকার সাহায্য নিরপেক্ষ হইয়াও তিনি বেদান্তাদির বাঙ্গালা গদ্য অনুবাদ এবং বোধ হয় কিছু কিছু বাঙ্গাল। বিচার গ্রন্থও লিখিয়াছিলেন। তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী গৌবীকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য বাঙ্গালা গদ্য অবলম্বনে তাহার প্রবন্ধের উত্তাব দিতেন । * যে সময়ে তিনি “তহ ফাতুল মওয়াহিদ্দীন’ গ্ৰন্থ লেখেন, সে সময়ে তাহার ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় জ্ঞান ও বিশ্বাসের কিরূপ অবস্থা ছিল, আলোচনা করিয়া দেখা উচিত । ইংরেজি শিক্ষা করিবার অনেক পূর্বেই রাজা বেদান্ত পাঠদ্বারা পৌত্তলিকতার অসারতা বুঝিতে পারেন এবং একেশ্ববিবাদে উপনীত হন। কোরাণ ও মুসলমান ধৰ্ম্মগ্রন্থাদি পাঠে ও রাজার মনে একেশ্বরবাদ দৃঢ়ীকৃত হয়। যদিও এই সমস্ত উপায়ে রাজার মনে ধৰ্ম্মভাব বিশুদ্ধ ও সরল আকার ধারণ করিয়া একেশ্বরবাদে পরিণত হইয়াছিল, যদিও তিনি বহুদেবোপাসনা ও পৌত্তলিকতা পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, তথাচ বেদান্ত ও কোরাণে এমন কিছু নাই যদ্বারা